ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

মা-মেয়েকে নির্যাতন: মেয়ের জবানবন্দি গ্রহণ

একে আজাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মা-মেয়েকে নির্যাতন: মেয়ের জবানবন্দি গ্রহণ

গ্রেপ্তারকৃতদের কয়েকজন

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং তার ও তার মাকে নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় ওই ছাত্রী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ (শিশু আদালত) এর বিচারক এমদাদুল হক এবং অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ওই ছাত্রীকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।

নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার পক্ষের কৌঁসুলি ভিকটিমকে সেভ হোমে রাখার আবেদন করলে আদালত ওই ছাত্রী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা বাড়াতে বলেছেন। পাশাপাশি তার চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর ঘটনার হোতা তুফান সরকারের বড় ভাই বগুড়া শহর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকারকে আজ মঙ্গলবার সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় গত ২৮ জুলাই বগুড়া সদর থানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। নয়জন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

গত রোববার রাতে আসামি নারী কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমি বেগমকে পাবনা জেলা শহর থেকে এবং তুফানের স্ত্রী আশা বেগম, সহযোগী জিতু ও মুন্নাকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রুমকির বাবাকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় চুলকাটার নাপিত জীবনকে জেলার গাবতলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার পর হোতা তুফান সরকার ও তার সহযোগীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যরা হলেন- আলী আজম দিপু, রূপম হোসেন ও আতিকুর। আতিকুর রহমান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন জাতীয় শ্রমিক লীগের বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান সরকার। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।

বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে মারধর করে নাপিত দিয়ে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেন।

এ ঘটনার পর তুফানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।




রাইজিংবিডি/বগুড়া/১ আগস্ট ২০১৭/একে আজাদ/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়