মাঠে জলাবদ্ধতায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এতে করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাতায়াত, খেলাধুলা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ও সমাবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হচ্ছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের দেওহাটা এ জে উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও প্রায় সহস্র শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৯৭৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ২১ জন। পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যেখানে রয়েছে ৫/৬ শ’ কোমলমতি শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের মাঠে তাদেরও আসা যাওয়া।
তিন বছর আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেনে উন্নীত করনের কাজ শুরু হয়। সে সময় দেওহাটা এ জে উচ্চ বিদ্যালয়ের ভুমি অধিগ্রহণের টাকা দিয়ে নির্মিত হয় চার তলা নতুন ভবন। মহাসড়ক উন্নয়নের কাজ চলার কারণে বিদ্যালয়ের মাঠ মহাসড়ক থেকে অন্তত ৫/৬ ফুট নিচু হয়ে যায়।
মূলত সে কারণেই শুকনো মৌসুমে বিদ্যালয়ের মাঠ ভাল থাকলেও বর্ষা মৌসুমে শুরু হচ্ছে দুর্ভোগ। বৃষ্টি এলেই চারদিকের পানি মাঠে নেমে জলাবদ্ধতা তৈরি করছে। শিক্ষার্থীদের জুতা হাতে নিয়ে কাপড় ভিজিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু রায়হান, জান্নাতুল ফেরদৌস ও সানজিদা আক্তার একই ধরনের মন্তব্য করে।
তাদের ভাষ্যে, একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পানি জমে। সেজন্য বিদ্যালয়ের ড্রেসের সাথে জুতা পরার কথা থাকলেও তারা পরতে পারে না। স্যান্ডেল পরে আসে। সেই স্যান্ডেলও হাতে নিয়ে মাঠ পার হতে হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা এই ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে শিক্ষামন্ত্রী, মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে চলমান সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু এখনো কোন সমাধান হয়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয় মাঠের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে প্রধান শিক্ষককে সাথে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের সাথে কথা বলেছি। মহাসড়কে চার লেনের কাজের জন্য আবার ভুমি অধিগ্রহণ হবে বলে তিনি বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে একটু অপেক্ষা করতে বলেছেন।’
রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯/শাহরিয়ার সিফাত/সনি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন