ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘মাথার ওপরের ছাতা সরে গেছে’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ১৭ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মাথার ওপরের ছাতা সরে গেছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শুধু আমার বড় ভাই ছিলেন না। উনি আমার পিতা, উনি আমার শিক্ষক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমাদের মাথার ওপর ছাতাটি সরে গেছে, বট গাছটি আর নেই। আপনারা ওনার জন্য দোয়া করবেন।’

সদ্য প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কুলখানিতে বুধবার বিকেলে গুলশানের আজাদ মসজিদে ছোট ভাই, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।

তিনি বলেন, ওনার পিতৃস্নেহে আমরা বেড়ে উঠেছি। তিনি ছিলেন আমাদের সবার অভিভাবক। তাঁর কোলে চড়ে সিনেমা দেখেছি, হাতে ধরে চামচ দিয়ে খাওয়া শিখেছি।

‘রাজনীতির হাতেখড়িও তাঁর হাত ধরে। কিভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয় শিখিয়েছেন তিনি’, বলেন জিএম কাদের।

তিনি বলেন, দেশে সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিল মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সব কর্মকাণ্ড। তাই তাঁর যত জানাজা হয়েছে সবকটিতে মানুষের তিল ধারণের জায়গা ছিল না। তাঁর জানাজা প্রমাণ করেছে মানুষের ভালবাসা। দেশের মানুষ তার কর্ম ভালোবেসে তাকে আপন করেছে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমার ভাই যখন হাসপাতালে তখন রাষ্টপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রেখেছেন। আমি কৃতজ্ঞ। সম্মিলিত সামারিক হাসপাতালের ডাক্তাররা রাতদিন নিজেদের বাবার মতো করে সেবা করেছেন। আমি চিকিৎসকসহ নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ।

 

কাদের বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ গ্রামকে শহর করার কথা বলছে, উপজেলা পদ্ধতি চালু করে এরশাদ এর গোড়াপত্তন করেছিলেন। আজকে খেলাধুলায় আমাদের যে অর্জন তার বীজ বপন করেছিলেন উনি বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করে।

কুলখানিতে এরশাদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ. নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, সাবেক ছাত্রনেতা নুরে আলম সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ, জেপি সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী এবিএম গোলাম মোস্তফা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী নাসিম উদ্দিন আল আজাদ, এরশাদের দুই পুত্র রাহগীর আল মাহে সাদ এরশাদ, ছোট ছেলে এরিক এরশাদ।

জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, মেজর মো.  খালেদ আখতার (অব.), রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি, ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল আলম রুবেল, আরিফ খান, জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, আশরাফ সিদ্দিকী, মাসুদুর রহমান চৌধুরীসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জুলাই ২০১৯/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়