ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘মার্সেল হা-শো’ নামটাই একটা ব্র্যান্ড: আমিন খান

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২০, ১০ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মার্সেল হা-শো’ নামটাই একটা ব্র্যান্ড: আমিন খান

রাহাত সাইফুল: দেশের জনপ্রিয় কমেডি রিয়েলিটি শো ‘মার্সেল হা-শো’। বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব নিয়ে অনুষ্ঠানটির সিজন-৫ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই সিজনের টাইটেল স্পন্সর বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইলস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড মার্সেল। খুব শিগগির অনুষ্ঠানটির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। সম্প্রতি মার্সেলের কার্যালয়ে মার্সেল ও এনটিভির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এসময় রাইজিংবিডির এই প্রতিবেদক কথা বলেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খানের সঙ্গে। আলাপচারিতার অংশবিশেষ রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

রাইজিংবিডি : বাংলা সিনেমায় কমেডি শিল্পী সংকটে ‘মার্সেল হা-শো’ কতটা ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন?

আমিন খান : চলচ্চিত্রের কমেডি আর স্ট্যান্ড-আপ কমেডি ভিন্ন বিষয়। যারা স্ট্যান্ড-আপ কমেডি করেন তারা ফিল্মে গিয়ে ভালো করবেন- একথা বলা যায় না। আবার ফিল্মে কমেডি করেন তারা স্ট্যান্ড-আপ কমেডিতে ভালো করবেন বলে মনে করছি না। স্ট্যান্ড-আপ কমেডির ধরন ভিন্ন। সিনেমার কমেডিতে আলাদা স্ক্রিপ্ট থাকে। ঐ স্ক্রিপ্ট লাইন-আপ করে তার বাচনভঙ্গি ও দেহভাষা দিয়ে দর্শককে হাসাতে হয়। স্ট্যান্ড-আপ কমেডি হচ্ছে উপস্থিত দর্শকদের মধ্য থেকে কথা দিয়ে বুদ্ধি প্রয়োগ করে দর্শককে হাসাতে হয়। মানুষ হয়তো মনে করতে পারেন কমেডি বিষয়টা খুব সহজ। সেটা পর্দায় হোক আর স্ট্যান্ড-আপ কমেডি হোক। আমি মনে করি, অভিনয়ের সবচেয়ে কঠিন জায়গা হচ্ছে কমেডি। দিলদার ভাই যখন টপ পজিশনে সুপারস্টার। তখন পর্দায় উনি আসামাত্র দর্শক হাসতে শুরু করতো। দেখা গেছে তিনি স্বাভাবিকভাবে দাঁড়ালেও মানুষ হাসছে। এই যে তার প্রতি যে আস্থার জায়গা এটা তৈরি করতে হবে।

রাইজিংবিডি : জনপ্রিয় কমেডিয়ান দিলদারের সঙ্গে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা  কেমন ছিল?

আমিন খান : দিলদার ভাই অনেক সিনিয়র শিল্পী ছিলেন। পর্দার পিছনে তার সঙ্গে কথা বলে কখনও মনে হয়নি, আমি সিনেমায় নতুন বা সে বিশ বছরের সিনিয়র। তার আচার-আচারণে এমন কিছু কখনও মনে হয়নি। তার সঙ্গে কথা বললে মনে হতো সে আমার সমবয়সি, বন্ধুর মতো। সকাল বেলা এসে মেক-আপ করতে বসলে তিনি বলতেন- তাড়াতাড়ি শেষ কর তো! তোর সঙ্গে গল্প করবো। পুরো ফ্রেন্ডলি। ফলে তার সঙ্গে অভিনয় করতে গেলে সহজ মনে হতো। কমেডিটা হচ্ছে- সঠিক সময় সঠিক সংলাপ দেয়া। বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক না থাকলে কাজটি কঠিন হয়ে যায়।

রাইজিংবিডি : অনেক রিয়েলিটি শোতে দেখা যায় জোর করে মানুষ হাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘মার্সেল হা-শো’ সেদিক থেকে ব্যতিক্রম। বিষয়টি কীভাবে সম্ভব হলো?

আমিন খান : স্ক্রিপ্টের অভাবে এটা হয়। জোর করে হাসাতে হয়। স্ক্রিপ্ট খুব ভালো না হলে, অনুষ্ঠানের ডিজাইন ভালো না হলে এই ধরনের সমস্যা হয়। এর জন্য ওয়ার্কশপ করতে হয়, ভাবতে হয়। এই সময়টা না দেয়ার কারণে অনুষ্ঠান সুন্দর হয় না। আমরা এই বিষয়গুলোর প্রতি কঠোরভাবে নজর দেই। স্ক্রিপ্টের দিকে জোর দেই। আশা করছি- আমাদের অনুষ্ঠান এবারও ভালো হবে। ‘মার্সেল হা-শো’ নামটাই একটা ব্র্যান্ড হয়ে গেছে। আমরা এবার ভাবছি সম্পূর্ণ নতুনভাবে ‘মার্সেল হা-শো’ দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করবো। অনুষ্ঠানের ডিজাইন এবার একেবারে ভিন্ন।  আমাদের দেশে অধিকাংশ কমেডিয়ান ভাড়ামি করেন। ভাড়ামি করলে কখনও মানুষ হাসে না। লাল-নিল টাইপের উদ্ভট টাইপের পোশাক পরলো বা উদ্ভট অঙ্গভঙ্গি করলে মানুষ আরো বিরক্ত হয়। এখনকার কমেডিয়ানদের আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে।

রাইজিংবিডি : সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমিন খান : আপনাকেও ধন্যবাদ।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জুলাই ২০১৯/রাহাত/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়