ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

যা বললেন তদন্ত কর্মকর্তা

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২১ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যা বললেন তদন্ত কর্মকর্তা

মাকসুদুর রহমান : ভয়াবহ ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সমাবেশের আয়োজন করে তৎকালীনন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ। সমাবেশের চারদিক থেকে ১৩টি গ্রেনেড ছুড়ে মারে জঙ্গিরা। মূহুর্তের মধ্যে পুরো এলাকা যেন মৃত্যুরপুরীতে পরিণত হয়।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার সর্বশেষ তদন্তের তদারকি করেন তৎকালীন সিআইডির জ্যেষ্ঠ বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ।

তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে আর কি বলবো। কেননা তদন্ত শেষ হয়ে মামলার বিচারও হয়ে গেছে। তারপরও জজ মিয়াকে দিয়ে নাটক সাজানো, মামলার আলামত নষ্ট এবং গ্রেপ্তার জঙ্গিদের বক্তব্যে এটি যে একটি রাজনীতিক হামলা ছিল তা পরিস্কার। এভাবে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে কোন রাজনীতিক, কি কারণে হামলা, জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক, তাদের গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল, হামলার পর আসামি রক্ষা এবং তাদের পালাতে সহায়তা করাসহ সব কিছুই রাজনীতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। পরিকল্পনাকারীদের ধারণা ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারলে শক্ত রাজনীতিক প্রতিপক্ষ থাকবে না। তাকেই হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়।’

পুলিশের কাছে তথ্য আছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সে সময়ের বিরোধী দলের নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অস্থায়ী ট্রাকমঞ্চে বক্তব্য শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশ লক্ষ্য করে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়ে মারে জঙ্গিরা। ১৩টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণে মুহূর্তেই সমাবেশস্থল পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শত-শত নেতাকর্মী আহত হন।

২০০৪ সালের ১৮ আগস্ট আবু তাহের, মুফতি হান্নান ও আহসান উল্লাহ ওরফে কাজল মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেটের কাছে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) কার্যালয়ে বৈঠক করেন।  ওই সময় ২১ আগস্ট জনসভায় হামলা করার সিদ্ধান্ত হয়। তৎকালীন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সঙ্গেও তারা কথা বলে। আবু তাহের, মুফতি হান্নান ও কাজল ধানমন্ডির লেকপাড়ে উপমন্ত্রী পিন্টুর সরকারি বাসভবনে যান। সেখানে পিন্টু, তার ভাই তাজউদ্দিন, তাহের, হান্নান ও কাজল পরিকল্পনা নিয়ে আরেক দফা আলোচনা করেন।

১৯ আগস্ট মাওলানা তাহের, কাজল, জান্দাল ও আবদুস সালাম পিন্টু মিরপুর এক নম্বর পানির ট্যাংকের কাছে মসজিদ-এ আকবর কমপ্লেক্সে আবার বৈঠক করেন। ২০ আগস্ট সকাল ১১টায় জান্দাল ও কাজল ধানমন্ডিতে পিন্টুর বাসায় যান। এ সময় ১৫টি গ্রেনেড দেন মাওলানা তাজউদ্দিন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি’র নথিতে বলছে, ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে।

২০১১ সালের ৩ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র আদালতে দেওয়া হয়।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৯/মাকসুদ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়