ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

যাত্রী ওঠানো-নামানো হয় ইচ্ছেমতো

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যাত্রী ওঠানো-নামানো হয় ইচ্ছেমতো

নির্ধারিত স্থানে যাত্রী-ওঠা নামা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না (ছবি : আহমদ নূর)

ট্রাফিক পুলিশের কঠোর মনোভাব ও চেষ্টার পরেও সড়কে বিশৃঙ্খলা কমেনি। নির্ধারিত স্থানে যাত্রী-ওঠা নামা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত রাজধানীর সাত মসজিদ রোডে (শংকর- জিগাতলা) ঘুরে দেখা গেছে, বাস-হিউম্যান হলার ইচ্ছেমতে সড়কের যেকোনো জায়গায় যাত্রী নামাচ্ছে ও তুলছে।

ছোট যানবাহনগুলোর মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল চলাচল করছে ইচ্ছেমতো। অনেক মোটরসাইকেল চালক ও তার সহযাত্রীর মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।

 

 

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো গাড়ি ওভারটেক করতে গেলে ডান পাশের খালি জায়গা দিয়ে ওভারটেক করতে হয়। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশাগুলো ওভারটেক করার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানছে না। বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে ও গতি কমিয়ে অন্যান্য গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছিল প্রাইভেট কার।

গণপরিবহনগুলো যেন নিয়মের ঊর্ধ্বে। শংকর থেকে জিগাতলা পর্যন্ত উভয় পাশে দেখা গেছে, শুধু বিআরটিসির এসি বাস ছাড়া আর কোনো গণপরিবহন নিয়ম মানছে না। যেখানে-সেখানে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হচ্ছে।

নির্ধারিত স্টপেজে না দাঁড়ালে এবং স্টপেজ ছাড়া গাড়ির গেট খোলা থাকলে পু্লিশ মামলা দিচ্ছে। শংকর বাস স্ট্যান্ড, ধানমন্ডি-১৫ (পুরাতন) বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাফিক কনস্টেবলকে দেখা গেলেও সার্জেন্টকে দেখা যায়নি। বেলা ১২টার দিকে শংকরে এক ট্রাফিক সার্জেন্ট কয়েকটি মোটরসাইকেল ধরে মামলা দিতে থাকেন। একসময় মোটরসাইকেলের চালকরা সার্জেন্টের সঙ্গে তর্ক করতে শুরু করেন। যদিও সার্জেন্ট তাদের ভুল ধরিয়ে দিচ্ছিলেন। তবু চালকরা মানছিলেন না তাদের ভুল। এদের মধ্যে কারো হেলমেট ছিল না। আবার কারো গাড়ির সবগুলো কাগজ ছিল না।

 

 

পৌনে ১টার দিকে জিগাতলায় মিডওয়ে পরিবহনের একটি বাস নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী নামানো ও ওঠানোর কারণে মামলা দিতে চান ট্রাফিক সার্জেন্ট দিপু। এ সময় বাসচালকের সহকারী (হেলপার) তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। তবে সার্জেন্ট মামলা দেন। এ সময় একটি সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী নামানোর উদ্দেশ্যে উল্টো পথে স্ট্যান্ডে আসে। সার্জেন্ট দিপু মামলা করতে গেলে তর্ক শুরু করেন সিএনজি অটোরিকশার চালক। কিছুক্ষণ তর্ক করার পর সার্জেন্ট মামলা দেন।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিল যে, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া গাড়ির দরজা খোলা যাবে না। তবে সড়কে ট্রাফিক সার্জেন্ট না থাকলেই খোলাই থাকে গাড়ির দরজা। এজন্য অবশ্য হেলপার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখেন, সড়কে সার্জেন্ট আছেন কি না।

যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানো-নামানোর বিষয়ে মৈত্রী পরিবহনের বাসচালক আবু বকরের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘যাত্রীরা যেখানে নামতে চায় সেখানেই নামিয়ে দিতে হয়। তা না হলে তারা ধমক দেয়। আবার বাসে যাত্রী কম থাকলে সব জায়গা থেকে যাত্রী নিতে হয়। নয় তো লসের মুখে পড়তে হয়।’ 


ঢাকা/নূর/জেনিস/রফিক 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়