ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রশ্নপত্র ফাঁস

যে কোনো মূল্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

আলী নওশের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যে কোনো মূল্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। আর আবারো সেই একই সমস্যা- প্রশ্ন ফাঁস। এ থেকে কিছুতেই রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী পরীক্ষার প্রথম দিনেই বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস হয়েছে।  ৩ ফেব্রুয়ারি আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের যে পরীক্ষা হয়েছে, সে পরীক্ষারও প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

দেখা যাচ্ছে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস  ঠেকাতে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগ বা বা পদক্ষেপ কোনো কাজে আসছে না। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। প্রশ্নফাঁসের ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। অভিভাবকরাও এ নিয়ে চিন্তিত। যারা সারা বছর কষ্ট করে পড়ালেখা করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয় পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস হলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের খুব খারাপ লাগে।

আবার কারো কারো মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। তাদের কেউ কেউ ভাবে, সারা বছর কষ্ট করার দরকার কী। পরীক্ষার আগে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে তারা ভালো ফল করবে। এতে হয়তো অনেকে জিপিএ-৫ পাবে। কিন্তু ভবিষ্যতে এরা নিজেদের জন্য ভাল কিছু কী করতে পারবে? কর্মজীবনেও এরা জাতিকে কিছু দিতে পারবে না। দেশ ও জাতির ওপর এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী।

প্রশ্নফাঁসের কারণে পরীক্ষার ওপর কারও আস্থা থাকছে না। এখন বিসিএস, বিভিন্ন ক্ষেত্রে  নিয়োগ পরীক্ষা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, এমনকি স্কুল পর্যায়ে সমাপনী পরীক্ষারও প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, পরীক্ষা মানেই যেন প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া!  আর প্রতি বছর এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দুর্বৃত্তদের সঙ্গে শিক্ষকরাও সম্পৃক্ত। এ থেকে ভাবলে অবাক হতে হয়, আমাদের নীতি, নৈতিকতা , বিবেকবোধ কোন পর্যায়ে নেমে গেছে।

আরো অভিযোগ রয়েছে যে, রীতিমতো সিন্ডিকেট গঠন করে দুষ্কৃতকারীরা একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ ব্যাপারে শুধু কড়া কড়া কথা বললেই হবে না। প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে  দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে যে কোনো মূল্যে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের প্রত্যাশা প্রশাসন এ ব্যাপারে আরো সক্রিয় হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আলী নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়