ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

বাসু দাস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি : জেলার থানচিতে দুই কিলোমিটার রাস্তার পাশে রিটার্নিং ওয়াল তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নির্মাণকাজে নিযুক্ত ঠিকাদার নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ করছেন বলে থানচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগও করেছেন এলাকাবাসী।

থানচি উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদর থেকে ছাংদাক পাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ইটের সোলিংয়ের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। আর রাস্তার দুপাশে ১০ থেকে ১৫ টি অংশে নির্মাণ করা হচ্ছে রিটার্নিং ওয়াল। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় দুকোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তায় ইটের সোলিং এবং রিটার্নিং দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে।

উপজেলার টিএন্ডটি পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হারুন ও কামাল অভিযোগ করেন, রিটার্নিং ওয়াল এর ঢালাই কাজে স্থানীয় সাঙ্গু নদীর নিন্মমানের বালি এবং নতুন রডের বদলে পুরাতন রড ব্যবহার করছে প্রভাবশালী ঠিকাদার।

তারা আরো বলেন, রাস্তা তৈরিতে এবং রিটার্নিং ওয়াল তৈরিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগপত্র আমরা গত ২৫ শে জানুয়ারি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে থানচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য হ্লা চিং বলেন, এলাকাবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে গত বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। ঢালাই কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করাই ওইদিনই কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। ঢালাইয়ের কাজে ভবিষ্যতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশের পর কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও তার পরের দিন ঠিকাদারের ম্যানেজার সরোওয়ার ও সুপারভাইজার কমলের নির্দেশে শ্রমিকরা ঢালাই কাজ পুনরায় শুরু করেন বলে জানায় এলাকাবাসী।

এ সময় ঢালাই কাজে এলাকাবাসী আবারও বাধাঁ দিলে হট্টগোল ও এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিয়য়টি নিয়ে রিপোর্ট করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় ম্যানেজার সরোওয়ার ও সুপারভাইজার কমল। এ সময় সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় তারা গালিগালাজ করেন ।

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ঠিকাদার আনিসুর রহমান সুজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ রড ও স্থানীয় বালি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। বিষয়টির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি ।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আজিজ বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রিটার্নিং ওয়াল ঢালাইয়ের সময় তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবে। সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিমের অনুপস্থিতিতে কোনো মতেই ঢালাই কাজ গ্রহণ যোগ্য হবে না। এ ছাড়াও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

প্রসঙ্গত, বান্দরবানের ঠিকাদার আনিসুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে থানচিতে পাহাড় কেটে ইটভাটা তৈরী এবং এলজিইডি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

 

 

রাইজিংবিডি/বান্দরবান/২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এস বাসু দাশ/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়