ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রুবিনার জন্য রেলমন্ত্রীর ২ লাখ টাকা অনুদান

আশরাফুল ইসলাম আকাশ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০০, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রুবিনার জন্য রেলমন্ত্রীর ২ লাখ টাকা অনুদান

জবি প্রতিনিধি : ট্রেনে কাটা পড়ে দুই পা হারানো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্রী রুবিনা আক্তারকে ২ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। জবি ছাত্রলীগের প্রচেষ্টায় এ অনুদান পেয়েছেন রুবিনা আক্তার।

রোববার দুপুরে রেল ভবনে রুবিনা আক্তারের মায়ের হাতে নগদ অনুদান তুলে দেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এ সময় জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল উপস্থিত ছিলেন।

অনুদানের টাকা তুলে দেওয়ার পর মন্ত্রী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং রুবিনার কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ভবিষ্যতেও রুবিনা আক্তারের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ সব সময়ই শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত তারা। আমাদেরই বোন দুর্ঘটনায় আহত। তার পাশে দাঁড়ানো আমাদেরই দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই শুরু থেকেই সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগ অসহায়, বিপদগ্রস্ত শির্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় রুবিনার জন্য আমরা যা যা করার দরকার তা করার ব্যবস্থা নিয়েছি। তার স্বাভাবিক জীবনে ফেরা পর্যন্ত পাশে থাকব আমরা।

এদিকে জবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান রুবিনা আক্তারের খোঁজ-খবর রাখছেন। সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

গত রোববার দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে কাটা পড়ে দুই পা হারান রুবিনা আক্তার। জবির সমাজকর্ম বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী তিনি।

রুবিনা আক্তার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জের শান্তিনগর এলাকার মৃত রবিউল ইসলামের মেয়ে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে রবিউল ইসলাম ২০১৪ সালে মারা যান। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রুবিনা আক্তার মেজ। তার বড় বোন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তার ছোট ভাই রংপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়ছে। তার মা রহিমা খাতুন পরের বাড়িতে কাজ করে তাদের পড়াশুনা করাচ্ছেন। তাদের বসতবাড়ি ছাড়া ছোট্ট এক টুকরো জমি আছে। তাতে আবাদ এবং গরু ও হাঁস-মুরগি লালনপালন করে সামান্য আয় দিয়ে চলছে কষ্টের জীবন।

মুঠোফোনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুবিনা আক্তারের মা রহিমা আক্তার বলেন, আমরা গরিব। তেমন জমিজমা নেই। পরের বাসায় কাজ করে কীভাবে যে সন্তানদের পড়াশুনা করাচ্ছি তা আল্লাহই জানেন। সপ্তাহ দেড়েক আগে অসুস্থ হয়ে মেয়ে বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু পড়াশুনার কথা বলে আবার চলে যায়। আবার অসুস্থ বোধ করলে আমি তাকে বাড়িতে চলে আসতে বলি। এখন আমার মেয়ের এই অবস্থা হলো। আমার তো আর কিছুই থাকল না।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জানুয়ারি ২০১৮/আশরাফুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়