ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

লকডাউনের কারণে জুম অ্যাপে বিয়ে!

খালেদ সাইফুল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ১১ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লকডাউনের কারণে জুম অ্যাপে বিয়ে!

লকডাউনের কারণে বিভিন্ন পারিবারিক উৎসব পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে একত্রে পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। করোনা মহামারির ফলে সমগ্র বিশ্বের মানুষই তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত বিভিন্ন উৎসবও স্থগিত করতে বাধ্য হচ্ছে।

টেক্সাসের এক যুগল তাদের বিয়েতে কাছের মানুষদের স্বশরীরে উপস্থিত করতে না পারলেও, তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত রাখেননি। নিজেদের বিয়েতে সকলকে যুক্ত করার জন্য জুম ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপে বিয়ের আয়োজন করেন।

আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন এর বাসিন্দা কেইথলিন দিলওয়ার্থ ও ইথান পোলাক তাদের ২৮ মার্চের বিয়ের তারিখ স্থগিত করেন। তারা সমস্ত অনুষ্ঠান ১ বছরের জন্য পিছিয়ে দেন। কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছর প্রতীক্ষার পর তাদের বিয়ের তারিখ যখন ঘনিয়ে আসছিল, তখন তারা নিজেদের মধ্যে এ ব্যাপারে আবার ভাবতে শুরু করে। সবকিছু প্রস্তুত থাকায় তারা দেরি না করে পূর্বনির্ধারিত তারিখেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

কেইথলিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি। কিন্তু যখন বিয়ের তারিখ খুবই নিকটবর্তী হলো তখন আমরা ভাবলাম আমাদের জন্য বিয়ের উৎসবের চেয়ে বিয়েটাই জরুরি। আগে থেকেই বিবাহ নিবন্ধন, আংটি, পোশাক এবং ফাদার সবকিছুই প্রস্তুত ছিল।  তাই আমরা দেরি না করে বিয়ে করে ফেললাম।

এই যুগল আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ই-মেইলে তাদের বিয়ের কথা আবার জানায়। তারা তাদের বিবাহের নিবন্ধনে ফাদারের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। মার্চের ২৮ তারিখে তাদের প্রায় ২০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি জুম অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিওতে তাদের বিয়েতে যুক্ত হয়। তারা প্রত্যেকেই তাদেরকে অভ্যর্থনা জানায়। অনেকে বিয়ের পোশাক পরে তাদেরকে ভিডিও টোস্ট পাঠায়। কেউ কেউ নিজেরা ড্যান্স করে তার ভিডিও পাঠায়। আবার কেউ শ্যাম্পেনের বোতলের ছবি মেইল করে পাঠিয়েছে। কেইথলিন বলেন, এসব দেখে আমি কান্না আটকে রাখতে পারিনি।

বিয়েতে অনেকে ভিডিওতে যুক্ত থাকলেও তাদের প্রতিবেশীরা কিন্তু তা করেনি। তারা তাদের নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই দূর থেকে সরাসরি এই বিয়েতে যোগ দিয়েছে। এটি ছিল তাদের দেখা অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো থেকে ভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান।

অভিনব এই বিয়ের আলোকচিত্র ধারণ করেছে তাদের ফটোগ্রাফার এবং সে সবসময় ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখেছে।

এই মুহূর্তে যেহেতু ভ্রমণের কোনো সুযোগ নেই, তাই কেইথলিন দম্পতির হানিমুন পরিকল্পনাও ছিল ব্যতিক্রমী। কেইথলিন বলেন, আমরা সারাদিন নিজেদের রুমে পিজ্জা খেয়ে এবং প্লানেট আর্থ দেখেই আমাদের হানিমুন করেছি। তবে পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী বছর তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিকল্পনা আমাদের আগে থেকে কখনোই ছিল না, এমনকি আমরা কখনো এ ধরনের চিন্তাও করিনি। কিন্তু যেভাবে হঠাৎ করে আমাদের বিয়ে হয়েছে, তা ছিল সব মিলিয়ে নিখুঁত।


ঢাকা/ফিরোজ  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়