সুপার ওভারের রোমাঞ্চে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড
আবু হোসেন পরাগ : অবশেষে বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হলো ইংল্যান্ডের। রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচ ও সুপার ওভার টাই হওয়ার পর বাউন্ডারিতে এগিয়ে থেকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংলিশরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১/৮
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১/১০
সুপার ওভারে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড
সুপার ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১৬ রান। জোফরা আর্চার প্রথমেই দেন ওয়াইড। এরপর জেমস নিশাম নেন ডাবল। দ্বিতীয় বলে হাঁকান ছক্কা। ৪ বলে চাই ৭। পরের দুই বলে নিশামের আরো দুটি ডাবল। ২ বলে দরকার ৩। পঞ্চম বল থেকে এক রানের বেশি নিতে পারেননি নিশাম।
শেষ বলে লাগত ২। স্ট্রাইকে মার্টিন গাপটিল। পুরো টুর্নামেন্টে যিনি ছিলেন নিষ্প্রভ। ফাইনালে নায়ক হওয়ার হাতছানি। লেগ স্টাম্পে আর্চারের ফুল লেংথ বলটা ঠিকমতো খেলতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল যায় ডিপ মিডউইকেটে। দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটেছিলেন গাপটিল। ফিল্ডারের থ্রো থেকে বল ধরে স্টাম্প ভাঙেন জস বাটলার। গাপটিল তখন কিছুটা দূরেই। সুপার ওভারও টাই। বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য জিতেছে ইংল্যান্ড। সুপার ওভারসহ ইংলিশদের বাউন্ডারি ছিল মোট ২৬টি, নিউজিল্যান্ডের ১৭টি।
তিনবার ফাইনাল হারের পর চতুর্থবার এসে শিরোপার আক্ষেপ ঘুচল ইংল্যান্ডের। টানা দুই ফাইনালে হেরে নিউজিল্যান্ডের প্রথম শিরোপার অপেক্ষাটা বেড়ে গেল আরো।
সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের ১৫
সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করে বিনা উইকেটে ১৫ রান তুলেছেন জস বাটলার ও বেন স্টোকস। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের চাই ১৬ রান।
ম্যাচ টাই
শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দুই বলে কোনো রান নেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে হাঁকান ছক্কা। পরের বলে ডাবল ও ওভার থ্রো মিলিয়ে আসে মোট ৬ রান। ২ বলে চাই ৩।
পরের বলে স্টোকস নিতে চেয়েছিলেন ডাবল, তবে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান আদিল রশিদ। শেষ বলে দরকার ২। এবারও দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মার্ক উড, ম্যাচ টাই! নিয়ম অনুযায়ী শিরোপা নিস্পত্তি হবে সুপার ওভারে। স্টোকস ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ফার্গুসনের আরেকটি উইকেট
আগের ওভারে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জস বাটলারকে। লোকি ফার্গুসন তার পরের ওভারে এসে তুলে নিলেন ক্রিস ওকসের উইকেটও। বল আকাশে তুলে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন ওকস।
তখন ৪৬ ওভার ১ বলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৩ রান। ৫৬ রানে ব্যাটিং করা বেন স্টোকসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট।
বাটলারকে থামালেন ফার্গুসন
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জস বাটলারকে ফিরিয়ে ১১০ রানের বড় জুটি ভেঙেছেন লোকি ফার্গুসন। অফ স্টাম্পের বাইরে স্লোয়ার বল উড়াতে চেয়েছিলেন বাটলার। ডিপ পয়েন্টে থেকে দৌড়ে এসে দারুণ একটি ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার টিম সাউদি।
৬০ বলে ৬ চারে ৫৯ রান করেন বাটলার। তখন ৪৪ ওভার ৫ বলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৬ রান। বেন স্টোকসের সঙ্গী হয়েছেন ক্রিস ওকস।
এবার স্টোকসের ফিফটি
জস বাটলারের পর ফিফটি করেছেন বেন স্টোকস। ৮১ বলে ফিফটি করতে ৩টি চার মারেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৪৪ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৯ রান। স্টোকস ৫০ ও বাটলার ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন। ৬ ওভার থেকে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ৫৩ রান।
স্টোকস-বাটলার জুটির একশ
বেন স্টোকস ও জস বাটলারের পঞ্চম উইকেট জুটি স্পর্শ করেছে শতরান, ১২১ বলে।
বাটলারের দারুণ ফিফটি
চাপের মুখে উইকেটে নেমে দারুণ একটি ফিফটি করেছেন জস বাটলার। ট্রেন্ট বোল্টকে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার হাঁকিয়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান স্পর্শ করেন পঞ্চাশ, ৫৩ বলে।
স্টোকস-বাটলার জুটির পঞ্চাশ
একশর আগে চার ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েছেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। তাদের জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ, ৬৩ বলে।
৩৪ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩৭ রান। স্টোকস ২৯ ও বাটলার ২৩ রানে অপরাজিত আছেন। ১৬ ওভার থেকে এখনো ১০৫ রান করতে হবে ইংলিশদের।
ইংল্যান্ডের একশ
দলীয় একশ রান করতে ২৭ ওভার ৩ বল লেগেছে ইংল্যান্ডের। এরই মধ্যে তারা হারিয়েছে ওপরের দিকের চার ব্যাটসম্যানকে।
২৮ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৬ রান। বেন স্টোকস ১৫ ও জস বাটলার ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
ফার্গুসনের দুর্দান্ত ক্যাচ
জেমস নিশামের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা কাট করেছিলেন এউইন মরগান। ডিপ পয়েন্ট থেকে অনেকটা দৌড়ে সামনে ঝাঁপিয়ে দুই হাতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিলেন লোকি ফার্গুসন। নিশ্চিত হতে সিদ্ধান্ত গিয়েছিলেন টিভি আম্পায়ারের কাছে। রিপ্লেতে দেখা যায়, ক্যাচটা ছিল পরিষ্কার।
প্রথম বলেই নিশাম পেয়েছেন উইকেট, মরগান ২২ বলে করেছেন ৯ রান। তখন ২৩ ওভার ১ বলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৬ রান। বেন স্টোকসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জস বাটলার।
ফার্গুসনের শিকার বেয়ারস্টো
লোকি ফার্গুসনের ব্যাক অব লেংথের অফ সাইডের বাইরের বল অফ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল ভেঙে দেয় স্টাম্প।
৫৫ বলে ৭ চারে বেয়ারস্টো করেন ৩৬ রান। তখন ১৯ ওভার ৩ বলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭১ রান। এউইন মরগানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেন স্টোকস।
ডট বলের চাপে আউট রুট
কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের প্রথম দুই বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি জো রুট। তৃতীয় বলটা গ্র্যান্ডহোম দিলেন অফ স্টাম্পের বাইরে। ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
শুরু থেকেই রানের জন্য সংগ্রাম করছিলেন রুট। একের পর এক দিচ্ছিলেন ডট। সেই ডট বলের চাপেই ভাঙলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
রুট ৩০ বলে করেন ৭ রান। তখন ১৬ ওভার ৩ বলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৯ রান। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক এউইন মরগান।
মেডেনের হ্যাটট্রিক
আঁটসাঁট বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে চেপে ধরেছে নিউজিল্যান্ড। ১০ থেকে ১২- টানা তিন ওভার নিয়েছে মেডেন। এর মধ্যে দুটি ম্যাট হেনরির, একটি কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের।
১২ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৯ রান। জনি বেয়ারস্টো ১৮ ও জো রুট ২ রানে অপরাজিত আছেন।
ব্রেক থ্রু এনে দিলেন হেনরি
অফ স্টাম্পের বলটা যেন জেসন রয়কে খেলতে বাধ্য করলেন ম্যাট হেনরি। অনেকটা সেমিফাইনালে রোহিত শর্মাকে আউট করার মতো। উইকেটের পেছনে দারুণ নিচু ক্যাচ নিলেন টম ল্যাথাম। নিউজিল্যান্ড পেল ব্রেক থ্রু।
রয় ২০ বলে করেন ১৭ রান। তখন ৫ ওভার ৪ বলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৮ রান। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জো রুট।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ইংল্যান্ডের চাই ২৪২
প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের সবাই উইকেটে থিতু হয়েছেন। তবে পঞ্চাশ পার করতে পারলেন শুধু একজন। আরেকজন যেতে পারলেন পঞ্চাশের কাছে। শেষ দিকে উঠল না প্রত্যাশিত ঝড়। নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহটাও তাই বড় হলো না। দারুণ বোলিংয়ে কিউইদের ২৪১ রানে বেঁধে রাখল ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে ২৪১-এর চেয়ে কম রান (১৮৩) ডিফেন্ড করে শিরোপা জিতেছে শুধু ভারত, ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১/৮ (গাপটিল ১৯, নিকোলস ৫৫, উইলিয়ামসন ৩০, টেলর ১৫, ল্যাথাম ৪৭, নিশাম ১৯, গ্র্যান্ডহোম ১৬, স্যান্টনার ৫*, হেনরি ৪, বোল্ট ১*; ওকস ৩/৩৭, আর্চার ১/৪২, প্লাঙ্কেট ৩/৪২, উড ১/৪৯, রশিদ ০/৩৯, স্টোকস ০/২০)।
শেষ ওভারে আর্চারের প্রথম
ইনিংসের ও নিজের শেষ ওভারে প্রথম উইকেট পেয়েছেন জোফরা আর্চার। তার ফুলটসে বোল্ড হয়েছেন ৪ রান করা ম্যাট হেনরি।
ওকসের তৃতীয় শিকার ল্যাথাম
ক্রিস ওকসের স্লোয়ার বল মিড অফের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন টম ল্যাথাম। তবে সেখানে সহজ ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার জেমস ভিন্স।
৫৬ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ৪৭ রান করেন ল্যাথাম। তখন ৪৮ ওভার ৩ বলে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩২ রান। মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ম্যাট হেনরি।
গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়ে ওকসের দ্বিতীয়
কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেয়েছেন ক্রিস ওকস। ডানহাতি পেসারের স্লোয়ার বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে লিডিং এজ হয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান (১৬)।
তখন ৪৬ ওভার ৫ বলে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২২১ রান। ৪৪ রানে ব্যাটিং করা টম ল্যাথামের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার।
নিউজিল্যান্ডের দুইশ
৪৩ ওভার ৩ বলে দলীয় দুইশ রান স্পর্শ করেছে নিউজিল্যান্ড। ৪৪ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৩ রান। টম ল্যাথাম ৩২ ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১২ রানে অপরাজিত আছেন।
প্লাঙ্কেটের তৃতীয় শিকার নিশাম
লিয়াম প্লাঙ্কেটকে মিড অনের ওপর দিয়ে খেলতে গিয়ে জো রুটকে ক্যাচ দিয়েছেন জেমস নিশাম। ইনিংসে এটি প্লাঙ্কেটের তৃতীয় উইকেট।
নিশাম ১৯ রানে ফেরার সময় ৩৯ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৩ রান। ২৩ রানে ব্যাটিং করা টম ল্যাথামের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
দুর্ভাগ্য টেলরের
মার্ক উডের লেংথ বল স্কয়ার লেগে খেলতে গিয়ে মিস করেছিলেন রস টেলর। বল আঘাত হানে তার প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস। টেলরের রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল না, একমাত্র রিভিউটা আগেই শেষ করেছেন মার্টিন গাপটিল। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বলটা লেগ স্টাম্পের ওপর দিয়ে যেত!
টেলর ৩১ বলে ১৫ করে ফেরার সময় ৩৩ ওভার ১ বলে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪১ রান। ১১ রানে ব্যাটিং করা টম ল্যাথামের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জেমস নিশাম।
ফিফটির পরই ফিরলেন নিকোলস
ফিফটির পর ইনিংস আর বড় করতে পারলেন না হেনরি নিকোলস। বাঁহাতি ওপেনারকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট।
ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাকফুটে গিয়ে কাভারে খেলতে চেয়েছিলেন নিকোলস। তবে ব্যাটের কানায় লেগে ভেঙে দেয় স্টাম্প।
৭৭ বলে ৪ চারে নিকোলস করেন ৫৫ রান। তখন ২৬ ওভার ৫ বলে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৮ রান। ৬ রানে ব্যাটিং করা রস টেলরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন টম ল্যাথাম।
নিকোলসের দায়িত্বশীল ফিফটি
বিশ্বকাপে প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন হেনরি নিকোলস। ৭১ বলে ফিফটি করতে ৪টি চার মারেন শূন্য রানে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া বাঁহাতি ওপেনার।
রিভিউ নিয়ে উইলিয়ামসনকে ফেরাল ইংল্যান্ড
লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে কেন উইলিয়ামসনের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়ে দেননি আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। ইংল্যান্ড চায় রিভিউ। আল্ট্রা এজে দেখা যায়, বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে যাওয়ার আগে উইলিয়ামসনের ব্যাটে চুমু খেয়েছিল।
৫৩ বলে ২ চারে ৩০ রান করেন উইলিয়ামসন। তখন ২২ ওভার ৪ বলে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৩ রান। ৪৬ রানে ব্যাটিং করা হেনরি নিকোলসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রস টেলর।
নিকোলস-উইলিয়ামসন জুটির পঞ্চাশ
মার্ক উডকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে চার মারলেন হেনরি নিকোলস। এই চারে পূর্ণ হলো দ্বিতীয় উইকেট জুটির পঞ্চাশ, ৭২ বলে।
২০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯১ রান। নিকোলস ৪০ ও কেন উইলিয়ামসন ২৪ রানে অপরাজিত আছেন।
পাওয়ার প্লেতে নিউজিল্যান্ড ৩৩/১
প্রথম পাঁচ ওভারে বিনা উইকেটে ২৪ রান তুললেও মার্টিন গাপটিলের বিদায়ের পর কমে গেছে নিউজিল্যান্ডের রানের গতি। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৩ রান। হেননি নিকোলস ১০ ও কেন উইলিয়ামসন ১ রানে অপরাজিত আছেন।
ওকসের শিকার গাপটিল
মার্টিন গাপটিলকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন ক্রিস ওকস। ডানহাতি পেসারের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি।
১৮ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান করেন গাপটিল। তখন ৬ ওভার ২ বলে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৯ রান। হেনরি নিকোলসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন নিকোলস
ক্রিস ওকসকে ডিসেন্স করতে গিয়ে ব্যাটে খেলতে পারেননি হেনরি নিকোলস, বল আঘাত হানে তার প্যাডে।এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আঙুল তুলে দেন কুমার ধর্মসেনা। নিকোলস মার্টিন গাপটিলের সঙ্গে আলোচনা করে নেন রিভিউ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্পের ঠিক ওপর দিয়ে যেত। শূন্য রানে বেঁচে যান নিকোলস।
অপরিবর্তিত দুই দলই
চোটের শঙ্কা কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলছেন হেনরি নিকোলস, ইংল্যান্ডের হয়ে জনি বেয়ারস্টো। দুই দলই সেমিফাইনালের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেলর, জেমস নিশাম, টম ল্যাথাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট, লোকি ফার্গুসন।
ইংল্যান্ড একাদশ
জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, এউইন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার, ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড।
টস
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান জানান, আগে বোলিং পেয়ে তিনি অখুশি নন।
বৃষ্টিতে টস হতে দেরি
সকালে বৃষ্টি হয়েছে লন্ডনে। টসের সময় তাই ১৫ মিনিট পিছিয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হবে টস। খেলা শুরু হবে পৌনে ১১টায়।
ইংল্যান্ড না নিউজিল্যান্ড
ছয় সপ্তাহ, ৪৭ ম্যাচ- দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এখন শেষের খুব কাছে এবারের বিশ্বকাপ। দ্বাদশ আসরের ফাইনালে মুখোমুখি স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। রোববার লর্ডসে ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন এউইন মরগান কিংবা কেন উইলিয়ামসন। দুজনের জন্যই এই স্বাদ হবে প্রথম, দুই দেশের জন্যও। বিশ্বকাপ দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন- ইংল্যান্ড কিংবা নিউজিল্যান্ড।
ছয়বার সেমিফাইনালে ব্যর্থ হওয়ার পর গত আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে কিউইদের শিরোপা স্বপ্ন থেকে যায় অধরাই। চার বছর পর আবারো তারা শিরোপার মঞ্চে। আর ইংল্যান্ড তিনবার ফাইনাল খেলে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল ফাইনালের স্বাদ। ২৭ বছর পর আরো একবার ফাইনালে ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত ট্রফিটা কার ঘরে যায়, সেটাই এখন দেখার।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জুলাই ২০১৯/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন