ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘উত্থান ঘটছে নব্য জেএমবির’

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ১৭ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘উত্থান ঘটছে নব্য জেএমবির’

মাকসুদুর রহমান : ২০০৫ সালের এই দিনে (১৭ আগস্ট) দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা করে রাতারাতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি। নিষিদ্ধঘোষিত এ জঙ্গি সংগঠনটির শক্তি কমলেও উত্থান ঘটছে নব্য জেএমবির।

সাংগঠনিকভাবে জেএমবি ভেঙ্গে পড়লেও এখনও তাদের পুরোপুরি নির্মূল করা যায়নি। বিভিন্ন সময়ে নিত্য নতুন নামে তাদের আর্বিভাব ঘটছে।

পুলিশের তথ্য মতে, জেএমবি’র শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানি, আবদুল আউয়াল, খালেদ সাইফুলল্লাহ ও ইফতেখার হাসান আল মামুনের (ল্যাংড়া মামুন) মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ রাতে। এরপর থেকে জেএমবি’র জঙ্গি তৎপরতা কিছুটা কমে আসে। এক পর্যায়ে হবিগঞ্জের মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবি’র হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু সে গ্রেপ্তার হওয়ায় পুরনো জেএমবি’র সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও বিপর্যন্ত হয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত তৎপরতার কারণে জেএমবি আর সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় হতে পারেনি। তবে ছোটছোট সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা করে কেউ কেউ। জেএমবি ছেড়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তারা।

জঙ্গি দমন নিয়ে কাজ করা র‌্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, জেএমবির শক্তি কমলেও উত্থান ঘটছে নব্য জেএমবির। গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলাসহ সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা নব্য জেএমবিই করেছে। সাংগঠনিকভাবে সংঘবদ্ধ হতে না পারলেও সারাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিরা ছোটছোট গ্রুপে নাশকতার ছক বাস্তবায়নে সারাক্ষণই কাজ করছে।

তবে তাদের সেই শক্তি এখন আর নেই বলে নিশ্চিত করেছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘জেএমবির প্রতিষ্ঠাতারা নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার জন্যই ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা করে। তাদের আমরা নির্মূল করার কথা কখনোই বলিনি। তবে তাদের বড় ঘটনা ঘটানোর ক্ষমতা এখন আর নেই। নব্য জেএমবিতে যারা এখনও আছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তারা আর যেন কোন ঘটনা সংঘটিত করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সিরিজ বোমা তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেদিন জঙ্গিরা বেশিরভাগ স্থানেই রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলো। কোথাও কোথাও টিফিন ক্যারিয়ারে বোমা রাখা ছিল। এসব বোমা জঙ্গিদের হাতে তৈরি। পরে এসব অভিযোগে সারাদেশে ১৬০টি মামলা দায়ের করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে প্রায় ৯০টি মামলার রায় হয়েছে দেশের বিভিন্ন আদালতে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ আগস্ট ২০১৯/মাকসুদ/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়