ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শাহজালালে অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শাহজালালে অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমদানি নিষিদ্ধ একটি অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

 

শারজাহ থেকে আগত যাত্রী জাহিদুল ইসলামের ব্যাগ থেকে ওই ড্রোনটি জব্দ করা হয়।

 

বুধবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি জানান, শুল্ক গোয়েন্দারা DJI Phantom 4 মডেলের একটি অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ করেছে। প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, ভিডিও শুটিং এর পাশাপাশি এটি স্পায়িং কাজে ব্যবহার করা যায়। রয়েছে উন্নতমানের ক্যামেরা ও সেন্সর। এটির অপব্যবহারের ঝুঁকি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

মঙ্গলবার রাত ১০টায় শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং G90515 যোগে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জাহিদুল ইসলাম। তার পাসপোর্টে নাম রয়েছে নজরুল ইসলাম, পাসপোর্ট নম্বর বিএ ০২৩০০৮৪। যাত্রীর বাড়ি কুষ্টিয়ার ভুরকাপাড়া গ্রামে।

 

সূত্র আরো জানায়, ওই যাত্রীকে নজরদারিতে রেখেছিল শুল্ক গোয়েন্দারা। কাস্টমস হলের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার  সময় তাকে থামানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ড্রোন থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তল্লাশি চালিয়ে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল জানান, দুবাই থেকে তার এক বন্ধু ঢাকায় কোনো এক ব্যাক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এসব গোয়েন্দা সরঞ্জামাদি দিয়েছেন। তিনি নিজে এর মালিক নন। আটককৃত সামগ্রীর আনুমানিক ওজন প্রায় ১৪ কেজি। এর বিভিন্ন অংশ খুলে প্যাকেজিং করা হয়েছে।

 

এতে উন্নতমানের ক্যামেরা বসানোর অপশন ও সেন্সর রয়েছে। রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এটি পরিচালনা করা হয়।  লিটারেচার পর্যালোচনায় দেখা যায় এসব ড্রোন প্রায় ১ কেজি ওজনের ভার বহনে সক্ষম। প্রতি ঘন্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে।  এর আগে শাহজালাল থেকে আটকৃত ড্রোন থেকে এটি আরো উন্নতমানের। 

 

ড্রোন নানা ধরনের নাশকতার কাজে ব্যবহার হতে পারে এই আশঙ্কায় সম্প্রতি বাংলাদেশে এর উপর আমদানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া ড্রোন আমদানি করা যায় না এবং এর উড্ডয়নের প্রাক্কালে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। আটক ড্রোনের বিষয়ে শুল্ক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

শুল্ক গোয়েন্দা শাহজালালের ফ্রেইট ইউনিটে গত ২৭ জুলাই আরেকটি ড্রোন আটক করেছিল। ওই ড্রোনটি খেলনা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়েছিল। পরে ড্রোনটি আটক করে কাস্টম হাউসে জমা দেওয়া হয়। 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়