ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শিক্ষকদের অনশন স্থগিত হলেও গণঅবস্থান চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষকদের অনশন স্থগিত হলেও গণঅবস্থান চলবে

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এমপিওভুক্তির দাবিতে ৫ম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি আগামীকাল রোববার পর্যন্ত স্থগিত করলেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শুক্রবার ৫ম দিনের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীরা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ গণঅবস্থানে জুমার নামাজ আদায়ের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষকরা বলেন, নীতিমালা ২০১৮ পরিশিষ্ট ‘খ’-এ নিম্ন মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম) শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ১৫০জন। কিন্তু ‘খ’ এ  নিম্ন মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম) শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফল চাওয়া হয়নি। তাহলে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো কোন মানদণ্ডে এমপিওভুক্ত করা হবে, বিষয়টি আমাদের নিকট স্পষ্ট নয়।

শিক্ষকরা আরো বলেন, পরিশিষ্ট ‘ক’ এ (৬ষ্ঠ-১০ম) শ্রেণি পর্যন্ত সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে শহর পর্যায়ে ৩০০ জন এবং মফস্বলে ২০০ জন। আবার বালিকা বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে শহরে ২০০ জন মফ্স্বলে ১০০ জন। কিন্তু পরিশিষ্ট ‘খ’ এ উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৪০ জন। যদি ২০০ জনে ৪০ জন পরীক্ষার্থী হয় সে অনুযায়ী আনুপাতিক হারে ১৫০ জনে ২৬ জন এবং ১০০ জনে হতে হবে ১৩ জন।

শিক্ষকরা বলেন, পরিশিষ্ট ‘খ’ কলেজ (উচ্চ-মাধ্যমিক) শহর সহশিক্ষায় (১১-১২) ২০০ জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৬০ জন, আবার নারীশিক্ষায় ১৫০ জন এ পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৬০ জন। ২০০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৬০ জন পরীক্ষার্থী চাওয়া হলে ১৫০ জনে ৪৫ জন হবে। মফস্বলে সহশিক্ষা ১৫০ জন শিক্ষার্থীতে পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৪০ জন। নারী শিক্ষায় ১২০ শিক্ষার্থীর মধ্যে চাওয়া হয়েছে ৪০ জন পরীক্ষার্থী। ১৫০ জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ৪০ জন পরীক্ষার্থী হলে ১২০ জনের ক্ষেত্রে হবে ৩২ জন। পরিশিষ্ট ‘খ’ স্নাতকে (১১-১৫) তে সহশিক্ষায় শহরে ২৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ‌্যে পরীক্ষার্থী ৬০ জন। কিন্তু এখানে  স্নাতক শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৫০ জন কিন্তু পরীক্ষার্থী ৬০ জন, যা সম্পূর্ণ অসংগতিপূর্ণ।

আবার নারীশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থী ১৫০ জনের ডিগ্রী স্তরে শিক্ষার্থী ৩০জন এর বিপরীতে ৪০জন পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে এবং এইচএসসি বিএম স্তরে প্রতি ট্রেডে শিক্ষার্থী ৩০ জনের বিপরীতে ৪০জন পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অনুরূপভাবে মাদরাসা, কারিগরি ও বিএম কলেজে উল্লেখিত সমস্যাগুলো ২০১৮ এমপিও নীতিমালায় বিদ্যমান।

শিক্ষকরা আরো বলেন, আমাদের জানামতে আবেদন চাওয়ার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের জাতীয় হার ৭০ শতাংশের নিচে ছিল। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শুধুমাত্র স্তর এমপিও’র নামে শিক্ষক এমপিও’র পরিবর্তে প্রতিষ্ঠান এমপিও বলে চালিয়ে দেওয়ার অপকৌশল আমরা দেখতে পাচ্ছি।

সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের আন্দোলন কর্মসূচিকে বেগবান করার লক্ষ্যে সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে ঢাকায় এসে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।


ঢাকা/ইয়ামিন/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়