ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শিল্পকলায় অভিনয়শিল্পীদের মিলনমেলা

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিল্পকলায় অভিনয়শিল্পীদের মিলনমেলা

ভোট দিতে আসা আগতদের একাংশ

আমিনুল ইসলাম শান্ত : অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানী সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ শিল্পীদের পদচারণায় মুখরিত। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

ভোট দিতে সকাল থেকেই শিল্পীদের আগমন শুরু হয় শিল্পকলায়। দুপুরের দিকে শিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় একাডেমি প্রাঙ্গণ। আনন্দঘন পরিবেশে চলছে ভোটগ্রহণ।

ভোট দিতে অনেক নবীন প্রবীণ তারকা অভিনয়শিল্পীরা এসেছেন শিল্পকলায়। এ সময় রাইজিংবিডির কথা হয় অভিনেতা তুষার খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অভিনয় শিল্পী সংঘের বয়স ১৫ বছর শেষ হয়েছে। কিন্তু গত ১৫ বছর কোনো ভোট হয়নি। ৮ বছর সিলেক্টেড কমিটি ছিল। তারপরের কমিটিতে আমরা ছিলাম। ওটাও সিলেক্টেড কমিটি ছিল। প্রথমবারের মতো আজকে ভোট গ্রহণ চলছে। উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে- এই নির্বাচনে আসলে কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বি নয়। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পরস্পর তারা বন্ধু।’

 


নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তুষার খান আরো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোট গ্রহণ খুব ভালোভাবে চলছে। আশা রাখি, বাকি সময়টা ভালোভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। আর নতুন কমিটিতে যারা আসবেন তাদেরকে সকল শিল্পীর সহযোগিতা করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শিল্পীদের সহযোগিতা অবশ্যই নতুন কমিটির জন্য খুব জরুরি।’

ভোট দিতে এসেছেন দুই পর্দার জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা আফজাল শরীফ। কথা হয় এই অভিনেতার সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এখনো ভোট দিইনি, দিব। যাদেরকে ভালো লাগে তাদেরকে নির্দিষ্ট করেই ভোট দিতে এসেছি। এখন জাস্ট ভেতরে গিয়ে ভোটটা দেয়া আরকি। আর নির্বাচন নিয়ে আমার প্রত্যাশা খুবই ভালো। এতদিন পর অভিনয়শিল্পীদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংগঠনটি শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা সব শিল্পীরাই মন থেকে খুব আশাবাদী। ভবিষ্যতে এই সংগঠন কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।’

‘নির্বাচন গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থাপনা। মানুষের মতামত প্রতিফলনের একটি মাধ্যম। সে দিক থেকে স্বাধীনভাবে সবাই ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করা আর কি। এটা গণতান্ত্রিক নিয়ম বা রীতি। আমি মনে করি, এই নির্বাচনটা আসলে পক্ষে-বিপক্ষের নির্বাচন না। এটি একটি উৎসব। এই নির্বাচন কাউকে কখনো যেন আঘাত না করে। আহত না করে। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কেউ যেন বিভাজন না করে। এই নির্বাচনে কেউ হারবে কেউ জিতবে। এতে কেউ হেরে গেলে আসলে সে পরাজিত হয়নি। এখানে জয় মানে শিল্পীর জয়, সংগঠনের জয়। আমি বিষয়টি এভাবেই দেখছি।’ রাইজিংবিডিকে কথাগুলো বলেন কচি খন্দকার।

ভোট দিতে শিল্পকলায় আরো উপস্থিত হয়েছেন, প্রবীণ অভিনেত্রী দিলারা জামান, কল্পনা আক্তার, ডলি জহুর, মাসুদ আলী খানসহ অনেকে। এদিকে র্বতমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীরাও রয়েছেন। এরমধ্যে হলো- হিল্লোল-নওশীন, মোশাররফ করিম- জুঁই, জাহিদ হাসান, তারিন, সুমাইয়া শিমু, আফরান নিশো, সাগর-শম্পা দম্পতিসহ অনেকে।  

নির্বাচনে ২১ টি পদের বিপরীতে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে অর্থ সম্পাদক পদে ইতিমধ্যে অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন সভাপতি পদে লড়ছেন চারজন। এরা হলেন শহীদুল আলম সাচ্চু, শহীদুজ্জামান সেলিম, ডি এ তায়েব ও গোলাম মোস্তফা।

 


আর সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন তিনজন। তারা হলেন আহসান হাবীব নাসিম, মীর সাব্বির ও সিদ্দিকুর রহমান। সহ-সভাপতি পদে আজাদ আবুল কালাম, তানভীন সুইটি, আদিত্য আলম, ইকবাল বাবু, তারিন, জাহিদ হোসেন ও রফিকুল্লাহ সেলিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আনিসুর রহমান মিলন, আশরাফ কবির, কামাল হোসেন, নূর মোহাম্মদ, রওনক হাসান ও সুমনা সোমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লুৎফর রহমান জর্জ ও শহীদ আলমগীর লড়ছেন।

এ ছাড়া আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে শামীমা ইসলাম ও শিরীন বকুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শাহরিয়ার নাজিম জয়, দপ্তর সম্পাদক পদে মাসুদ আলম তানভীর, শামস সুমন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আদনান ফারুক হিল্লোল ও ওমর আয়াজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে আরমান পারভেজ, বন্যা মির্জা, সফিউল আলম ও হাসান জাহাঙ্গীর এবং কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে সাতটি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন অভিনয়শিল্পী।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/রুহুল/শান্ত/মারুফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়