ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

শিশু ধর্ষণ আপসরফা: অ্যাকশন জানতে চান হাইকোর্ট

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ১৪ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশু ধর্ষণ আপসরফা: অ্যাকশন জানতে চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীয়ায় চতুর্থ শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী শিশুর (১১) ধর্ষণের ঘটনা সালিশের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকায় আপসরফার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সালিশকারীদের নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে ও চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে কি না সে বিষয়টিও জানাতে বলা হয়েছে। দিনাজপুরের ডিসি-এসপি, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে আগামী রোববারের মধ্যে বিষয়টি আদালতকে জানাতে হবে।

এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী শিশুর ধর্ষণের মূল্য ১৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি আপসরফার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ জুলাই উপজেলার ৭নং শিবনগর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর আবাসন এলাকায়। সালিশে অভিযুক্তকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও ওই শিশুর পিতাকে দেয়া হয়েছে ৭ হাজার টাকা। বাকি ৭ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়েছে উপস্থিত কথিত দুই সাংবাদিকসহ সালিশকারীদের মধ্যে।

ধর্ষিতার পিতা ভবিষ্যতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যেনো কোনো প্রকার আইনের আশ্রয় নিতে না পারেন এবং বিষয়টি যেনো কারও কাছে ফাঁস না করেন সেজন্য ৩০০ টাকা মূল্যের সাদা স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নিয়ে রাখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই সালিশে।

জানা যায়, ঘটনার দিন আবাসনের বাসিন্দা ওই রিকশাচালকের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী মেয়ে দোকানে জুস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে একই আবাসনের বাসিন্দা মেহেদুল ইসলাম (৩৫)। ঘটনাটি জানাজানি হলে ধামাচাপা দেয়ার জন্য শুরু হয় শিশুর পিতা-মাতার ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপসহ হুমকি। এক পর্যায়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ধর্ষণ ঘটনাটি মীমাংসা করতে বাধ্য করা হয়। শিশুর পিতা জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এলাকার শফিকুল ইসলাম, ইউপি মেম্বার সাইফুল ইসলাম বাবলু, গ্রাম পুলিশ আব্বাস উদ্দিন ও আবাসনের বাসিন্দা মো. সুজনের চাপে পড়ে ওইদিন বেলা ২টায় আবাসনে সালিশে উপস্থিত ছিলেন। সালিশের সময় দুইজন সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলো।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জুলাই ২০১৯/মেহেদী/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়