ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শিশু মায়েশা হত্যা: ময়নতদন্ত প্রতিবেদন যা বলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ১২ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ০০:১৭, ১৩ এপ্রিল ২০২১
শিশু মায়েশা হত্যা: ময়নতদন্ত প্রতিবেদন যা বলছে

মা-বাবাহীন অসহায় মায়শা থাকাতো নানা-নানি ও মামির সাথে। ঘটনার দিন বিকেলে মামির সাথে ঘুমিয়ে ছিল ৫ বছরের শিশু মায়শা। কয়েক ঘণ্টা পরই শিশুটির লাশ পাওয়া যায় বাড়ির ছাদের পানির ট্যাঙ্কিতে। 

পুলিশ আসে, লাশ উদ্ধার হয়। ধারনা করা হয় শিশুটি খেলতে গিয়ে পানির ট্যাঙ্কিতে পরে মারা গেছে। সেই ধারনা থেকে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল। ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরের এই অপমৃত্যুর ঘটনা সেখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর পুলিশের হাতে আসা শিশু মায়শা’র ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সবকিছুই উলট-পালট করে দিয়েছে। জানা গেছে শিশু মায়শাকে গোপনাঙ্গ এবং পায়ুপথ ক্ষতবিক্ষত করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পাওয়া গেছে ধর্ষণের আলামতও। ঘটনাটি চট্টগ্রামের খুলশী থানার মতিঝর্ণা এলাকার।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক রাইজিংবিডিকে জানান, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর পানির ট্যাঙ্কি থেকে উদ্ধার করা শিশু মায়শার লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে শিশুটিকে অমানবিকভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । ঘটনার দিন লাশ উদ্ধারের সময় শিশুর পারিবারিক তথ্য এবং সুরতহাল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে শিশুটি খেলতে গিয়ে পানির ট্যাঙ্কিতে পরে মারা গেছে ধারনা করে ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা হয়েছিল থানায়।

কিন্তু গতকাল রোববার (১১ এপ্রিল) হাতে পাওয়া ময়না তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে শিশু মায়শাকে হত্যা করা হয়েছে অমানবিকভাবে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে শিশু মায়শা’র গোপনাঙ্গ ও পায়ুপথ ক্ষতবিক্ষত ছিল। রয়েছে ধর্ষণের আলামতও। তবে তার দেহে কোন বির্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়।

পুলিশ জানায়, মা-বাবা না থাকায় মায়শা থাকতো নানা-নানির কাছে। ঘটনার দিন মায়শা মামির সাথে ঘুমিয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পরই সে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। তার হত্যার সাথে পরিবারের কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশ ধারনা করছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশ মায়শা’র মামিসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। শিশু মায়শার অমানবিক হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক।

এদিকে মায়শার মৃত্যুতে ৬ মাস আগে দায়েরকৃত অপমৃত্যুর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রেজাউল/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়