ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শীতের ফুলে রঙিন নার্সারি

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০১, ৫ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শীতের ফুলে রঙিন নার্সারি

গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কসমস, সিলভিয়া, ক্যালেন্ডুলা, পাপিয়া, সূর্যমুখী, জারবেরা, গ্ল্যাডিওলাস, নানা ধরনের গাঁদাসহ অসংখ্য ফুলগাছের চারা শোভা পাচ্ছে কুষ্টিয়ার নার্সারিগুলোতে। শীতের ফুলে রঙিন নার্সারি। শীতকালে ফুলগাছের চারা কেনাবেচা বেড়েছে অনেক গুণ। এতে লাভবান হচ্ছেন নার্সারির মালিকরা, কর্মসংস্থান হচ্ছে অনেক শ্রমিকের।

রোববার সকালে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন নার্সারি ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি নানা ফুলগাছের চারা। মালিক-কর্মচারী সবাই নার্সারিতে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া সড়কের পাশে অবস্থিত শোভা নার্সারির মালিক রুবেল জানান, এবার শীত মৌমুমে প্রায় ১৫ প্রজাতির ফুলের চারা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের গাঁদা, রক্ত গাঁদা, কুইন সুপার গাঁদা, বারমাসি গাঁদা ফুলের চারা প্রতি পিস ১০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। হাইব্রিড জাতের ডালিয়া ১৫ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ১৫, স্নোবল ২০, ক্যালেন্ডুলা ১০, জিনিয়া ১০, ফ্লোস ২০, গ্যাজোনিয়া ১০, ডাইনথাজ ১০, রঙ্গমিক্স ১০, দোপাটী ১০, স্টার ১০, পাপিয়া ২০, সিলভিয়া ১০, ফায়ার বল ১৩০, অপূর্বিয়া ৮০, পানচাটিয়া ১৫০, রক্তজবা ৮০, রঙ্গন ৮৫, চায়না টগর ২০, কসমস ১০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বছর শীতের শুরু থেকেই বিক্রি বেশ ভালো।

সৌখিন নার্সারির মালিক সুকদেব বলেন, ‘আমরা ফুলের চারা ও বীজ যশোরের গদখালী, ঝুমঝুমপুর, বাসুদেবপুর, বগুড়ার মহাস্থানগড় ও বরিশাল থেকে সংগ্রহ করি। আমরাও ফুলের বীজ থেকে নিজেরাই চারা উৎপাদন করি। শীত আসতেই ফুলগাছের চারার চাহিদা অনেক বেশি হয়। ভালো বেচাকেনা হচ্ছে।’

 

 

সোহাগ নার্সারির মালিক স্বপন আলী বলেন, ‘আমার নার্সারিতে প্রায় ৫০ প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছের চারা আছে। এ বছর চাহিদা ভালো। আমার এখানে প্রতিদিন ছয়জন কর্মচারী কাজ করেন। দিনে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার গাছের চারা বিক্রি করি।’

নার্সারির শ্রমিক মানিক হোসেন বলেন, ‘শীতকালে ফুলসহ বিভিন্ন গাছে চারা বিক্রি বেশি হয়। নার্সারির পরিচর্যার কাজ করি আমি। দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি। নার্সারিতে কাজ করেই সংসার চলে আমাদের।’

নার্সারি থেকে গাছের চারা কিনে ভ‌্যানে নিয়ে বিক্রি করে বেড়ান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমি এ পেশায় আছি। জেলা এবং জেলার বাইরে আমি ফুলের চারা বিক্রি করে থাকি। এতে দিনে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় হয়। শীত শুরু হওয়ায় ফুলের চারার চাহিদা অনেক বেশি।’

জেলা নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল গণি বলেন, ‘কুষ্টিয়া জেলায় ৪১টি নার্সারি আছে। এসব নার্সারিতে বিভিন্ন ফুল-ফল ও বনজ গাছের চারা উৎপাদন করা হয়। নার্সারির মালিকরা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না। এমনকি ঋণসুবিধাও পান না। সব কিছুই নিজেদের অর্থায়নে করতে হয়।’

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় অনেক বেসরকারি নার্সারি রয়েছে। তবে সেগুলো কৃষি বিভাগের আওতার বাইরে। জেলায় একটি সরকারি নার্সারি রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জাতের চারা উৎপাদন করা হয়। তবে সেটি আকারে অনেক ছোট। সরকারিভাবে এখনো বড় কোনো নার্সারি গড়ে ওঠেনি।’



কুষ্টিয়া/কাঞ্চন কুমার/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়