শুরুতেই লিঙ্গ বৈষম্যের বিতর্কে ‘অ্যাপল কার্ড’
আইফোন এবং অ্যাপলের অন্যান্য ডিভাইস সহজে কিনতে উদ্বোধন করা হয় অ্যাপল কার্ড। এটি আসলে একটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, যা অ্যাপলের ব্র্যান্ডিং। এই কার্ডের সাহায্যে আইফোন থেকে শুরু করে অ্যাপলের বিভিন্ন সেবা ক্রয় করা যাবে। কেনা যাবে কিস্তিতেও। এবং সে কিস্তিতে থাকবে না কোনো সুদ বা ইন্টারেস্ট।
এমন সুযোগের সদ্ব্যবহার কে না করতে চায়? কিন্তু সবাই যখন অ্যাপল কার্ডের জন্য আবেদন করল তখন দেখা গেল একটি কদর্য বিষয়। অ্যাপল কার্ডে পুরুষের তুলনায় নারী আবেদনকারীরা লিমিট পাচ্ছে অনেক কম! সকলেই ব্যাপারটিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। এমনকি যে পুরুষ ৫ বছর যাবত বেকার, তার ডাক্তার স্ত্রী তার তুলনায় ৪ গুণ কম লিমিট পেয়েছে। শুধু তাই নয় অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, কোনো কোনো নারীর তুলনায় পুরুষরা ২০ গুণ বেশি লিমিট পেয়েছে।
এতে করে পুরো আমেরিকা জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই যুগেও কেন নারীর প্রতি এমন অবহেলা? নাকি ইচ্ছাকৃত বৈষম্য। যদিও গোল্ডম্যান শ্যাস, যে ব্যাংক অ্যাপল কার্ড ইস্যুর দায়িত্বে আছে তারা জানাচ্ছে এটা একটা অ্যালগরিদম সমস্যা। এটার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। তবে নিউ ইয়র্ক স্টেট অথোরিটি টুইটারে এই সম্পর্কিত অভিযোগের বন্যা দেখে ব্যাপারটি তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে।
অনেক স্বামীই টুইট করেছে তার স্ত্রী কেন এতো কম লিমিট পেল তাদের তুলনায়। নিউ ইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘অথোরিটি এটাই তদন্ত করে দেখবে যে আসলেই নিউ ইয়র্ক আইন লঙ্ঘন হয়েছে কিনা এবং সকল ভোক্তা সমান অধিকার পেয়েছে কিনা।’ এখন তদন্তের ফলাফল আসলেই বোঝা যাবে এটা লিঙ্গ বৈষম্য নাকি আসলেই অ্যালগরিদম সম্পর্কিত কোনো ডিজিটাল সমস্যা।
ঢাকা/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন