ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘শেওলা-সুতাকান্দি শুল্ক স্টেশনকে যুগোপযোগী করা হবে’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০১, ৯ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘শেওলা-সুতাকান্দি শুল্ক স্টেশনকে যুগোপযোগী করা হবে’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : শেওলা-সুতাকান্দি শুল্ক স্টেশনকে আধুনিক, মানসম্মত ও যুগোপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

সোমবার সিলেটের শেওলা-সুতাকান্দি শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

এনবিআরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা (জনসংযোগ কর্মকর্তা) সৈয়দ এ’মুমেন রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এই শুল্ক স্টেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৮ সালে এই শুল্ক স্টেশনটি চালু হয়। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক আরো উচ্চমাত্রায় পৌঁছাতে এই স্টেশনকে মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরো সহজ করার লক্ষ্যে স্থল শুল্ক বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। এ স্টেশনের সঙ্গে ভুটান-ভারত-নেপালকে সম্পৃক্ত করা হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তঃদেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ।

‘অদূর ভবিষ্যতে শেওলা-সুতাকান্দি শুল্ক স্টেশনকে আধুনিক, মানসম্মত ও কার্যকর শুল্ক স্টেশন করা হবে। আমদানি-রপ্তানি নির্বিঘ্ন করতে শুল্ক স্টেশনে ওয়েব্রিজ স্থাপন করা হবে। এই রাজস্ব আহরণের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমাত্রিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে শুল্ক স্টেশনগুলোর আধুনিকায়ন অন্যতম অগ্রাধিকার’ বলেন নজিবুর রহমান।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের রাজস্ব সংস্থার মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান ও ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ডের প্রধানের সঙ্গে পুনরায় এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা প্রক্রিয়াধীন আছে।

উভয় দেশের শুল্ক সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা হ্রাস করতে পরবর্তী বৈঠকে উভয় দেশের শুল্ক স্টেশনের অবকাঠামো উন্নত করা, ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের কাউন্টার ভেইলিং ডিউটি প্রত্যাহার, বাংলাদেশি পণ্যের মান সনদ ভারতে গ্রহণ না করা, উভয় দেশের শুল্ক স্টেশনে ‘কার পাস’ সুবিধা (এক দেশের গাড়ি অন্য দেশে মালামালসহ প্রবেশ করে লোড-আনলোড করা) নিশ্চিত করা, বন্দরকে অটোমেশনের আওতায় আনা, উভয় দেশের স্টেশনে কার্যসময়ের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা, উভয় দেশের শুল্ক সম্পর্কিত তথ্যাদি আদান-প্রদান করার মতো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে এনবিআর থেকে জানানো হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জানুয়ারি ২০১৭/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়