শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা পিছিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার তারিখ পিছিয়ে আগামি ২৯ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমানকে জেরার জন্য দিন রোববার ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন বিশ্ব ইজতেমার কারণে আসামিদেরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার জন্য পরবর্তী তারিখ ২৯ জানুয়ারি রাখেন।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ দেয়ার কথা ছিল। সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময় ২০ জুলাই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন মো. এহিবুল্লাহ, মুন্সি ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে মুজাহিদ ট্রেনিংপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ নামক সংগঠনের সদস্য হন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জের বিসিক এলাকায় সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। সে কারখানায় আসামিদের নিয়োগ দেন এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে আসামি মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী আসামিরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখতেন। কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসার কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। এই বোমা ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে কোটালীপাড়ায় নিয়ে এসে রাতের আঁধারে সমাবেশস্থলের পাশেই পুঁতে রাখেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/শাহনেওয়াজ