ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার বাদীর জবানবন্দি

এম.শাহীন গোলদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ৭ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার বাদীর জবানবন্দি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিন ১৫ বছর পর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি ওসমান গনি জানান, মামলার ধার্য দিন মঙ্গলবার দুপুরে শারীরিকভাবে অসুস্থ বাদী হুইল চেয়ারে করে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম তার জবানবন্দি  গ্রহণ করেন।

জবানবন্দিতে তিনি ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাবার পথে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার বর্ণনা দেন।

এ মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির প্রাক্তন সভাপতি ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপি ও যুবদলের অনেককে আসামি করা হয়। এ মামলার কয়েকজন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। অন্যরা কেউ জামিনে অথবা জেলে রয়েছেন। আদালত মামলাটির পরবর্তী দিন ধার্য করেন  ১৪ মার্চ।

সাতক্ষীরা জজ আদালতের এপিপি তামিম আহমেদ সোহাগ জানান, কলারোয়ার হিজলদির এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেসময় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসে তাকে দেখে তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে যশোরে ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় কলারোয়ায় পৌঁছালে তার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। হামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী অক্ষত থাকলেও তার কয়েকজন সফরসঙ্গী আহত হন। এ সময় তাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় তৎকালীন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্ত তৎকালীন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া মামলাটি রেকর্ড করেননি। ফলে বাদী সাতক্ষীরা নালিশি আদালতে মামলা করেন।

মামলায় প্রাক্তন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।

আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কলারোয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও পুলিশ আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।

২০০৪ সালে বাদী নিম্ন আদালতে বিচার না পেয়ে আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেন। উচ্চ আদালত ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই মামলাটি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পাঠিয়ে তা পুনর্বিবেচনার আদেশ দেন।

সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তখন শুনানি শেষে কলারোয়া থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। এরপর থেকে মামলাটি দ্বিতীয় দফায় কার্যক্রম শুরু হয়।



রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/৭ মার্চ ২০১৭/শাহীন গোলদার/রিশিত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়