ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১১ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ : দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে। উৎসবমুখর পরিবেশ ও নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত সম্পন্ন করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। এটি হবে ১৯২তম ঈদুল আজহার জামাত। এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সাজানো হচ্ছে পুরো আয়োজন।

২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ঈদের জামাত। জামাতে ইমামতি করবেন ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ।

দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত আয়োজনের তোড়জোড় চলছে শোলাকিয়ায়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা শোলাকিয়ার জামাতকে সফল করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, বালু ফেলাসহ শোলাকিয়া মাঠকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ওজুখানা এবং টয়লেট। চলছে শহরের শোভাবর্ধনের কাজও। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিক্যাল টিম। দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

পৌর মেয়র পারভেজ মিঞা জানান, মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি, মেডিক্যাল টিম, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, এবারের ১৯২তম ঈদ-উল-আজহার জামাতেও কিশোরগঞ্জসহ জেলার আশপাশের অন্য জেলার মুসল্লিরাও নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করবেন।

জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী গৃহীত ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট প্রকাশ করে রাইজিংবিডিকে জানান, বরাবরের মত এবারও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে মাঠকে জামাতের উপযোগী করতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উৎসবমুখর পরিবেশে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ রাইজিংবিডিকে জানান, নামাজের সময় দুই প্লাটুন বিজিবি, নয় শতাধিক পুলিশ, র‌্যাব. আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিশ্চিদ্র ও কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করবে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এছাড়াও মাঠসহ প্রবেশ পথগুলোতে থাকছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। সুনির্দিষ্ট ৮টি গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করবে মুসল্লিরা। সবমিলিয়ে শোলাকিয়া মাঠে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলয় থাকবে।

রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি, এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে জামাত শুরুর সঙ্কেত দেওয়া হবে।

জনশ্রতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। সেটি এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।

 

রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/১১ আগস্ট ২০১৯/রুমন চক্রবর্তী/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়