ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শ্বশুরবাড়ি মধুরহাড়ি

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২১, ৯ জানুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শ্বশুরবাড়ি মধুরহাড়ি

শ্বশুরবাড়ি মধুরহাড়ি সবার কী হয়? ছেলেদের জন্য শ্বশুরবাড়ি যতটা মধুময় মেয়েদের জন্য তেমনটা না। বরং কিছুটা আতংক কাজ করে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে মেয়েদের। তবে আধুনিক যুগে আধুনিক পারিবারিক কাঠামোগুলোতে এখন অনেকটাই আন্তরিকতার পরিবেশ বিরাজ করে পরিবারগুলোতে।

শ্বাশুড়ি-বউ দ্বন্দ্ব পারিবারিক কাঠামোগুলোতে কমে এসেছে এখন অনেক। ছেলের বউয়ের স্বাধীনতায় যেমন বিশ্বাসী শ্বাশুড়ি,তেমনি নতুন সংসারে নতুন মাকেও আপন করে নেন নববধূরা। তারপরও খুটিনাটি শ্বশুরবাড়িতে থাকেই। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে মনের আগল খুলে শ্বশুরবাড়ি হবে মধুর হাড়ি, রইল তেমন-ই কিছু পরামর্শ।

* অনেকটা একটা শেকড় থেকে উপড়ে আরেক জায়গায় রোপন করা বৃক্ষের মতো-ই হয়ে থাকে নববধুর জীবন। তাই নতুন পরিবারের সবার উচিত নতুন সদস্যটিকে নিজেদের আপন করে নেয়া।

* নতুন বউয়ের ব্যাপারে পরামর্শ হলো স্বামীকে শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিন। তিনি আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তার পরিবারের অন্য পরিচয়গুলো ভুলে গেলে চলবে না।

* দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা দেখা দিলে সব সময় নিজের বাবার বাড়ির মানুষজনকে বলতে যাবেন না বরং শ্বশুরবাড়ির গুরুজনদের পরামর্শ নিন। তাদের অভিজ্ঞতার মূল্য দিলে তারা খুশি হবেন।

* নতুন শ্বশুরবাড়ির সবাই যে আপনার মন মতো হবেন বা আপনার পছন্দসই ব্যবহার করবেন, এইরকম প্রত্যাশা না করাই ভালো। কারো সঙ্গে মতামত না মিললে চট করে মেজাজ খারাপ করবেন না।

* শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন থেকেই পারিবারিক বন্ধন মজবুত করার প্রতি যত্নশীল হয়ে উঠুন। চেষ্টা করুন রাতের খাবার একসঙ্গে খেতে, যেন সবার সঙ্গে গল্প করার একটা সুযোগ পাওয়া যায়।

* শ্বশুরবাড়ির অভ্যন্তরীণ কোন সমস্যা হলে চেষ্টা করুন নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে। একে অপরের সম্বন্ধে কথা চালাচালি করা বা নিজেকে কোনো ঝামেলায় জড়িয়ে ফেলা নিশ্চয়ই ভানো রুচির পরিচয় দেয় না।

* ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। শ্বশুরের কাগজপত্র গুছিয়ে দিন, পছন্দের কোনো খাবার তৈরি করে দিন, শাশুড়িকে বাড়ির যেকোনো কাজে সাহায্য করুন।

* নিজের বাবার বাড়িতে ছোট খাটো ভুল করে সব মেয়েরাই পার পেয়ে যেতে পারে কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে কোনো ভুল করে ফেললে তার মাফ আপনি নাও পেতে পারেন। তাই বুঝে-শুনে চলুন, সতর্ক থাকুন।

* আপনার বাবা-মা হয়তো খুব সহজেই আপনার সমস্যা, মান-অভিমান বুঝতে পারতো তাই বলে যে শ্বশুরবাড়ির মানুষজন আপনার সব কিছু বুঝে নিবে তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তাই নিজেকে সংযত রেখে চলাই ভালো। কোনো কিছু নিয়ে খুব সমস্যায় থাকলে স্বামীকে বুঝিয়ে বলুন।

* শাশুড়িরা নিজেদের সংসারের দায়িত্ব খুব সহজে ছেলের বউয়ের ওপর দিতে চান না। এই ক্ষেত্রে ছোট ছোট দায়িত্বগুলো ভাগ করে দিতে পারেন। বিকেলের চা-নাস্তা কিংবা বিশেষ দিবসে বিশেষ কোনো খাবারের মেন্যুটার দায়িত্ব ছেলের বউয়ের হাতে একবার দিয়ে দেখুন-ই না।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জানুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়