ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সনির ক্ষত না শুকাতেই আবরার

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ৮ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সনির ক্ষত না শুকাতেই আবরার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জীবন দিতে হয় মেধাবী ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনিকে। প্রায় দেড়যুগ পর আবারও বুয়েটের আরেক মেধাবী ছাত্র আবরারকে নির্মমভাবে চলে যেতে হলো।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে আবরার হত্যার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল। মিছিল সমাবেশে আবরার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় আবরারের এক সহপাঠী ফরহাদ হোসেন বলছিলেন, ‘এর আগে আমরা সনিকে হারিয়েছি। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে আজ আবরারকে এভাবে জীবন দিতে হতো না। আবরারকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। বুয়েট ক্যাম্পাসে আর ছাত্র রাজনীতি হতে দেয়া হবে না।’

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন রাইজিংবিডিকে বলেন, অতীতের ঘটনার থেকে আবরারের টা ভিন্ন। কেননা তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আর যারা করেছে তাদের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে। সেভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করে যেন আসামিরা শাস্তিভোগ করে সে চেষ্টাই আমরা প্রথম দিন থেকে করছি।’

২০০২ সালের ৮ জুন। টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সনি মারা যান। টেন্ডারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপ। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের সামনে সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

পুলিশের নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। পলাতক রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরু। জেলে আছেন টগর। তবে আসামিদের কারো বিরুদ্ধে আদালতের রায় এখনও কার্যকর হয়নি।

উল্লেখ্য, রোববার গভীর রাতে বুয়েটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়