ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘সাইবার দুর্নীতির মামলায় অসুবিধায় দুদক’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২৪ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘সাইবার দুর্নীতির মামলায় অসুবিধায় দুদক’

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘সমাজে সাইবার ক্রাইমের মতো সাইবার দুর্নীতিও রয়েছে। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে যেসব দুর্নীতি হয়, সেসব মামলা পরিচালনায় কমিশনকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই এ জাতীয় দুর্নীতি দমনে বিচারিক কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক রেকর্ডকে সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে সাক্ষ্য আইন-১৮৭২ যুগোপযোগী করা প্রয়োজন।’

শনিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়নবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে, যাতে তাদের কর্মস্পৃহা আরো বাড়ে এবং নতুন উদ্যোমে দুর্নীতি প্রতিরোধে নিজেদেরকে দৃঢ়ভাবে আত্মনিয়োগ করে। দুর্নীতি প্রতিরোধে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কর্মকর্তারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি বলেন, এই কাজে  স্থানীয় জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য বিভাগ বা সংস্থার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তাদের সহযোগিতা নিয়ে সমন্বিতভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। কমিশনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। কমিশন নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষের প্ল্যাটফরম হিসেবে কাজ করবে। সবাই একই ছাতার ছায়ায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেবেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ দুদকের  সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনি ম্যান্ডেট। এর সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বিষয়টি জড়িত। বর্তমান প্রজন্ম যদি সঠিকভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মননে সুনীতি, চারিত্রিক সততা, নৈতিক মূল্যবোধ গ্রোথিত করতে না পরে তাহলে আলোকিত প্রজন্ম সৃষ্টি হবে না। যা হবে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দুদক সীমিত সাধ্যের মধ্যেও  প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তরুণ প্রজন্মের মাঝে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধ বিকশিত করা লক্ষ্যে বহুমাত্রিক কার্যকক্রম  পরিচালনা করছে। 

কর্মশালায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, দেশের সরকারি প্রতিটি ওয়েবসাইটে দুদকের অভিযোগকেন্দ্রের টোল ফ্রি হটলাইন নম্বর- ১০৬ প্রদর্শিত হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবও তৈরি করা হচ্ছে।

কর্মশালায় দুদকের আটটি বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ও ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালকগণ অংশ নিয়েছেন। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমমুদ, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ আগস্ট ২০১৯/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়