ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় স্লুইস গেটে ভাঙন : ঝুঁকিতে শতাধিক গ্রাম

এম.শাহীন গোলদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০১, ১৫ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাতক্ষীরায় স্লুইস গেটে ভাঙন : ঝুঁকিতে শতাধিক গ্রাম

সাতক্ষীর প্রতিনিধি : জেলার তালা উপজেলার মাগুরা বাজার এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে সংযোগ খাল খনন করায় কপোতাক্ষ নদের স্লুইস গেট ভেঙে ২০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে প্লাবন ঝুঁকিতে প্রায় শতাধিক গ্রাম।

ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে তালা-পাটকেলঘাটা সড়কের মাগুরা বাজার সংলগ্ন সড়কের একাংশ। যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা ও মৎস্য ঘের।

কপোতাক্ষ নদে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার দুপুরে তালা উপজেলার মাগুরা বাজার সংলগ্ন স্লুইস গেটে ভাঙন দেখা দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র হয়ে পানি বাড়তে শুরু করে।

সংবাদ পেয়ে শনিবার সকালে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান গণেশ দেবনাথ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আঁতাত করে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম করেছেন। নদের সংযোগ খাল সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার প্রকল্প সভাপতি ছিলেন চেয়ারম্যান। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুটপাট করেছেন। এ জন্য ভাঙন দেখা দিয়েছে।



এলাকাবাসী জানান, স্লুইচ গেট বন্ধ না হলে মাগুরা, জালালপুর ও খলিষখালী ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে তালা-পাটকেলঘাটা সড়কের মাগুরা বাজার সংলগ্ন সড়কের একাংশ। যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে বারুইপাড়া, ধুলুন্ডা, মাগুরা, মাগরুডাঙ্গা, জালালপুর ইউনিয়নের কিছু অংশের আমনের বীজতলা ও মৎস্য ঘের।

এদিকে ভাঙনের খবর শুনে তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় জনগণ তাদের সামনেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গণেশ দেবনাথ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কপোতাক্ষ নদের সংযোগ খাল ও স্লুইস গেট সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। ওই প্রকল্পের সভাপতিও তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিডিউল মোতাবেক কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, মাটি দিয়ে ইতিমধ্যে স্লুইস গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি পেলে কি হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর গোস্বামী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে দুইজন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল মাগুরায় পাঠানো হয়েছে। স্লুইস গেট বন্ধ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, স্লুইস গেট দিয়ে যেভাবে এলাকায় পানি প্রবেশ করছে, তাতে তিনটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হবে। ইতিমধ্যে এলজিইডির সড়ক হুমকির মধ্যে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আলাপ করেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে বলা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/ ১৫ জুলাই ২০১৭/এম.শাহীন গোলদার/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়