ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাজেট বাড়ানোর সুপারিশ

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাজেট বাড়ানোর সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাজেট বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়নকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘এনএসএসএস-এর আলোকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির উত্তরণ ও খাদ্য অধিকার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এ সুপারিশ করেন তারা।

সেমিনারে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। জাতীয় বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এ খাতে ব্যয় করা হলেও কর্মসূচিসমূহের প্রকৃত প্রভাব প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সরকারের বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া এবং সে লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিরও যথাযথ উন্নয়ন ঘটবে বলেই আমরা মনে করি।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগীদের ডাটাবেজ তৈরির ব্যাপারে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ডাটাবেজ তৈরি হলেই স্মার্ট কার্ড চালু করার কাজটা শুরু করব এবং কর্মসূচির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক নীতিগত ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তব ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণ,  বাস্তবধর্মী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, খাদ্য একটা মৌলিক অধিকার। সুতরাং একটা খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন এবং সে অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা দরকার।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।

এ সময় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সাতটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- অবিলম্বে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগী নির্বাচনে নতুন প্রক্রিয়া প্রবর্তন এবং আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের মধ্যে ডাটাবেজ তৈরি করা, কর্মসূচির অধীন উপকারভোগীদের ভাতা প্রদানে আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের মধ্যে সারা দেশে স্মার্ট কার্ড চালু করা, আগামী অর্থবছরের (২০১৭-২০১৮) মধ্যে প্রস্তাবিত এমআইএস নিশ্চিত করা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিকল্পিত কার্যক্রম বাস্তবায়নে যৌক্তিকভাবে উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আগামী বাজেটে সে অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আগে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পেনশন কর্মসূচি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে বাদ দিয়ে বাজেটে প্রকৃত বরাদ্দ নিশ্চিত করা, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং এসডিজি বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের অঙ্গীকার পূরণে এনএসএসএস এর প্রথম ধাপের সময়কাল কমিয়ে আনার বিষয়টি যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করা, সব ধরনের দারিদ্র্য থেকে মানুষের মুক্তির প্রধান পদক্ষেপ খাদ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে অবিলম্বে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়