সিরিজ বোমা হামলার ১৪ বছর
রাইজিংবিডি ডেস্ক: নিজেদের শক্তির জানান দিতে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় একযোগে পরিকল্পিতভাবে বোমা হামলা চালায় জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ-জেএমবি।
কেবল মুন্সিগঞ্জ জেলা সেদিন এ হামলার বাইরে ছিল। এতে দু’জন নিহত ও ১০৪ জন আহত হয়। সেদিন ৬৩ জেলার সাড়ে ৪শ’ স্থানে একযোগে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পাশাপাশি সারাদেশে বিচারকদের হুমকি দিয়ে লিফলেটও ছড়িয়ে দেয় তারা।
দেশজুড়ে সিরিজ হামলার পর শুরু হয় একের পর এক আত্মঘাতী জঙ্গী হামলা। বোমা হামলায় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ ৩৩ জন নিহত হন। আহত হন চার শতাধিক। বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতার সেই ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আলোচিত হয়। জঙ্গী গ্রেপ্তারে তৎপর হয়ে ওঠে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ওই সময় গ্রেপ্তার হয় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানি, খালেদ সাইফুল্লাহসহ প্রায় সাড়ে ৪শ’ জঙ্গী নেতাকর্মী।
১৩ বছরেও শেষ হয়নি দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা মামলার বিচারকাজ। তবে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ জেএমবির শীর্য দুই নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ কয়েক নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়, ঝালকাঠিতে বোমা হামলায় দুই বিচারক হত্যা মামলায়।
দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলায় দায়েরকৃত ১৫৯ মামলার মধ্যে ৯৩ নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে ৩৩৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। বাকি ৫৬ মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলায় মোট আসামির সংখ্যা চার শ’। এই পর্যন্ত ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার ২৭ আসামিকে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার মামলায় ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মামলায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৪৯ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এ দিনকে সামনে রেখে ঢাকাসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল জঙ্গী প্রতিরোধে এবং তরুণ প্রজন্মকে এ বিষয়ে সচেতন করতে কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ আগস্ট ২০১৯/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন