সিরিজ হারল বাংলাদেশ এমার্জিং দল
আব্দুল্লাহ এম রুবেল : সাইফ হাসানের অনবদ্য সেঞ্চুরির পরেও শ্রীলঙ্কা এমার্জিং দলের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বৃষ্টি আইনে হেরেছে বাংলাদেশ এমার্জিং দল। আর তাতে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যাবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা।
শনিবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে পরাজিত হয় নাজমুল হাসান শান্তর দল। এদিন আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ এমার্জিং দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে। এরপর বৃষ্টি হলে খেলা বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষন। পরে ২৮ ওভারে নতুন লক্ষ দাড়ায় ১৯৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৪ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা এমার্জিং দল। বিজয়ী দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পাধুন নিসাঙ্কা ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের সাইফ হাসান করেন ১১৭ রান।
সিরিজ জয়ের ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য খুব একটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। মাত্র ৬ রান করেই আউট হন মোহাম্মদ নাঈম। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাইফ হাসান। দলীয় ৮৩ রানে অধিনায়ক শান্তর আউটে এ জুটি ভাঙে। ভালো খেলতে থাকা নাজমুল শান্ত আউট হন ৩৯ রান করে।
এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট পড়ে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন সাইফ হাসান। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে লোকাল বয় আফিফ হোসেনকে সাথে নিয়ে বিপর্যয় কাটান সাইফ। শুধু বিপযর্য় কাটানোই না, দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন এ দু'জনই। উইকেটের চারিদকে খেলে সেঞ্চুরি আদায় করে নেন সাইফ হাসান। শেষ পর্যন্ত আউট হন ১১৭ রান করে। ১৩০ বলের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ৭টি ওভার বাউন্ডারি ছিল।
সাইফ আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলের আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেষদিকে তার দারুণ ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ২৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে স্বাগতিকরা। আফিফ হোসেন অপরাজিত ছিলেন ৬৮ রানে। ৭০ বলে ৬টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন তিনি। শ্রীলঙ্কা এমার্জিং দলের হয়ে কালান পেরেরা নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সিরান ফানের্ন্দো, রামেস মেন্ডিস ও হাসাঙ্গারা।
২৮ ওভারে ১৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা ভালোই করে শ্রীলঙ্কা। এরপর দ্রুত আরও একটি উইকেট পড়লেও বিপদ বাড়তে দেননি নিসাঙ্কা ও মিনোদ ভানুকা। এই জুটিই দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেয়। বিশেষ করে নিসাঙ্কা ছিলেন অনবদ্য। মাত্র ৭৮ বলে ১১৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ৮টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন তিনি।
অপর প্রান্তে একইরকম মারমুখী ছিলেন মিনোদ ভানুকা। তিনি ৩২ বলে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৫৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ইয়াসিন আরাফাত, রবিউল হক ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
ম্যাচ জেতানো অনবদ্য ১১৫ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন বিজয়ী দলের পাধুন নিসাঙ্কা। আর সিরিজসেরার পুরস্কার জেতেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সাইফ হাসান।
খেলা শেষে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আগামী ২৭ আগস্ট থেকে একই ভেন্যুতে দুই দলের মধ্যে প্রথম চারদিনের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
রাইজিংবিডি/খুলনা/২৪ আগস্ট ২০১৯/রুবেল/আমিনুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন