ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিলেটে নদীর পানি কমছে

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৬, ২৯ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিলেটে নদীর পানি কমছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : সিলেটে নদীর পানি কমতে শুরু করায় পাঁচ উপজেলার প্লাবিত নিম্নাঞ্চলের পানিও নামতে শুরু করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করে।

শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সুরমা নদীর একটি পয়েন্ট ছাড়া অন্য পয়েন্টগুলোতে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে; একইভাবে সারী এবং কুশিয়ারা নদীর সবকটি পয়েন্টেই পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

পানি নেমে যাওয়ায় দুপুর থেকে সারি-গোয়াইন সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে একদিন বন্ধ থাকার পর গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে সিলেট জেলা সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ সচল হলো। এ ছাড়া বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে যান চলাচল করতে শুরু করেছে। এ অবস্থা বহাল থাকলে তলিয়ে থাকা এলাকাগুলোর পানিও দ্রুত নেমে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা রাইজিংবিডিকে বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় এবং পাহাড়ি ঢল না আসায় সিলেটের সুরমার পানি দ্রুত কমছে। তবে কানাইঘাট পয়েন্টে শনিবার বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে; যেখানে শুক্রবার ৭২ সেন্টিমিটার ছিল। বৃষ্টি না হলে দ্রুত নেমে আসবে বলে জানান তিনি।

একই সময় সুরমার সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার আমলশীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫৬ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার এবং সারী নদীর সারীঘাট পয়েন্টে ৭৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা বিরাজমান থাকলে পানি দ্রুত নেমে যাবে বলে জানিয়েছেন পানি বোর্ডের ওই কর্মকর্তা।

ঢলের পানি আসায় আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছিলেন সিলেট জেলার পাঁচ উপজেলার নদী তীরের কয়েক শত গ্রামের জনসাধারণ। বন্যায় তলিয়ে যায় ফসলী জমি। গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এ বন্যায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন গোয়াইনঘাট উপজেলার বাসিন্দারা। এ উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের যোগাযোগ বন্ধ ছিল একদিন। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েন পানি কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। তাছাড়া জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারী বন্ধ হওয়ায় কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন। পুরোপুরি পানি না নামা পর্যন্ত কিছুটা দুর্ভোগে থাকতে হবে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের-এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মী রাসেল আহমদ।

জেলার জৈন্তাপুর, কানাইঘাট এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। আর বন্যা মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন প্রস্তুত ছিল বলে জানিয়েছেন তারা।

গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেটে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। আর শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আকাশ মেঘমুক্ত রয়েছে। তবে আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে হালকা বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।


রাইজিংবিডি/সিলেট/২৯ জুন ২০১৯/আব্দুল্লাহ আল নোমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়