ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সিলেটে নির্ধারিত স্থানে কোরবানিতে আগ্রহ নেই!

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ১২ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিলেটে নির্ধারিত স্থানে কোরবানিতে আগ্রহ নেই!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : সিলেট নগরে পশু কোরবানির জন্য ৩০টি স্থান নির্ধারণ করেছিল সিটি কর্পোরেশন। তবে দিন শেষে গড়ে ৬-৭টি পশু কোরবানি হয়েছে এসব স্থানে। প্রচারণা এবং সুযোগ-সুবিধার অভাব থাকাকেই এসব স্থানে পশু কোরবানিতে আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন নগরবাসী। একই সঙ্গে নির্ধারিত স্থান দূরে হওয়ায় অনেকেই বাসা-বাড়ির সামনের সড়কে পশু কোরবানি দিয়েছেন।

নগরীর ২০ নং ওয়ার্ডের মদনীবাগ এলাকায় বহুতল ভবনের সামনে গরু কোরবানি করছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। একত্রে সেখানে সাতটি গরু কোরবানি করা হয়।

এ বিষয়ে ওই ভবনের বাসিন্দা আফতাব শরীফ বললেন, ‘‘আমাদের ওয়ার্ডের পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ; যা বাসা থেকে অনেক দূরে। ফলে সেখানে গিয়ে পশু কোরবানি করলে মাংস বাসায় নিয়ে আসায় সমস্যায় পড়তে হবে। যে কারণে বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও আমাদের বাসার সামনের খালি জায়গায় পশু জবাই করেছি।’’

তিনি এও বলেন, পশু জবাইয়ের পর কোরবানির বর্জ্য তারা নিজ দায়িত্বে অপসারণ করেছেন। এমনকি পানি দিয়ে রক্তও মুছে দিয়েছেন। যে কারণে সেখানে বর্জ্য পড়ে নেই বলেও জানান তিনি। নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় একই চিত্র দেখা গেছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা রুহুল আলম বলেন, গতবারের মতো এবারও নির্ধারিত স্থানে কোরবানিতে নগরবাসীর সাড়া মেলেনি। নির্ধারিত স্থানে সব মিলিয়ে ৭-৮টি কোরবানি হয়েছে।

৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে লায়েক বলেন, তার ওয়ার্ডে নির্ধারিত স্থানে ১১টি গরু কোরবানি দেয়া হয়েছে।

এদিকে, দুপুরের পর থেকেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নামে সিটি কর্পোরেশনের ১২০০ পরিচ্ছন্নকর্মী। সন্ধ্যার আগে ৯০ শতাংশ এলাকার বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে; একই সঙ্গে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে রক্তও- এমনটি জানালেন সিসিকের কনভারভেটিভ শাখার কর্মকর্তা হানিফুর রহমান।

তিনি বলেন, এ বছর নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের ৩০টি স্থানে পশু কোরবানির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছিল। তবে এসব স্থানে পশু কোরবানিতে তেমন সাড়া পড়েনি। বেশির ভাগ মানুষ বাসা-বাড়ির আঙিনা, কিংবা সড়কে পশু কোরবানি দিয়েছেন। এসব স্থান থেকে বর্জ্য অপরসারণ করছেন সিসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

তিনি জানালেন, গত বারের মতো এবারও সন্ধ্যার আগে ৯০ ভাগ এলাকায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। কিছু এলাকা বাকি আছে। তা রাতের মধ্যে অপসারণ করা হবে। একই সঙ্গে কোথাও বর্জ্য জমে থাকলে সিসিকের হটলাইনে কল করলে পরিচ্ছন্নকর্মীরা সেখান থেকে নিয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।

সিলেট সিটির ওয়ার্ড ২৭টি। এ বছর প্রথমে পশু জবাইয়ের জন্য ৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে ৬টি কমিয়ে ৩০টি করা হয় বলে জানিয়েছে সিসিকের জনসংযোগ বিভাগ।


রাইজিংবিডি/সিলেট/১২ আগস্ট ২০১৯/আব্দুল্লাহ আল নোমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়