সৌম্য-মিরাজ কবে শিখবে, প্রশ্ন সাকিবের
চট্টগ্রাম থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক : মাত্র ২০ বল টিকে থাকতে পারলেই হতো। তাহলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লজ্জার হারটা এড়ানো যেত। সাকিব বাজে শট খেলে প্রথমেই দলকে ডুবিয়ে আসেন। পরবর্তীতে মিরাজ ও সৌম্য এমন কাজ করেছেন, যাতে বিরক্ত অধিনায়ক।
রশিদ খানের সোজা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে আসেন মিরাজ। বল এতোটাই সোজা ছিল যে খালি চোখে বোঝা যাচ্ছিল বল উইকেটে আঘাত করবে। মিরাজ সৌম্যর সঙ্গে কথা বলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। তাতে নষ্ট হয় রিভিউ। এর আগে গতকাল প্রায় একই রকম ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন মুশফিকুর রহিম। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মুশিফিকও রিভিউ নষ্ট করেন।
দুই রিভিউ নষ্ট হওয়ায় তাইজুল ইসলাম নিজের আউটের ভুল সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেননি। রশিদ খানের গুগলি তাইজুলের ব্যাটে লেগে আঘাত করে প্যাডে। আম্পায়ার পল উইলসন রশিদের আবেদনে সাড়া দেন। রিভিউ না থাকায় চ্যালেঞ্জও জানাতে পারেননি তাইজুল। অথচ তাইজুল প্রথম ইনিংসে ৫৮ বল মোকাবেলা করে দলের প্রয়োজন মিটিয়েছেন ভালোভাবে।
‘তাইজুলেরটা ব্যাট-প্যাড ছিল। যে একদিন ক্রিকেট খেলেছে তারও বোঝা উচিত ছিল এটা আউট। স্বাভাবিক ভাবে সে (মিরাজ) যদি রিভিউটা না নিত তাহলে তাইজুল নিতে পারত। কারণ তাইজুল আগের ইনিংসেও ভালো ব্যাটিংই করেছিল। অনেকক্ষণ ডিফেন্স করেছিল।’ – বলেছেন সাকিব।
মিরাজ ও তাইজুল সাজঘরে ফেরার পর সৌম্য ও নাঈম ব্যাটিং করছিলেন। চায়নাম্যান জহির খানের করা ওভারের দ্বিতীয় বলে সৌম্য এক রান নেন। অথচ ওই সময়টায় রানের থেকে উইকেটে টিকে থাকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এক রান নেওয়ার পর থেকেই সৌম্যর মাথায় হাত। ‘এ কি ভুল করলাম।’ ভাগ্য ভালো তরুণ নাঈম হাসান চারটি বল কোনোমতে কাটিয়ে দেন। সৌম্য ওই সময়টা সিঙ্গেল নেওয়ায় সাকিব বিরক্ত বোঝা গেল তার কথায়।
‘সৌম্য ওই রানটা নিয়ে মাথায় হাত দিচ্ছে। ও আসলে বুঝতে পারছে না ওর ভূমিকা কি কিংবা ওর কি করা উচিত। এই জিনিসগুলো অনেক কিছু শেখার আছে বোঝার আছে। কতদিন যে লাগবে শিখতে এটা বড় ব্যাপার। ’ – যোগ করেন সাকিব।
রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ইয়াসিন/আমিনুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন