ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

স্বাক্ষর জাল করে ভিজিডি তালিকা পরিবর্তনের অভিযোগ

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্বাক্ষর জাল করে ভিজিডি তালিকা পরিবর্তনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ভিজিডি উপকারভোগীদের নামের তালিকা পরিবর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সাত্তার পাড় নিজেই খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। ফলে এ ইউনিয়নের ভিজিডি তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরণে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে উপজেলার বাগালি ইউনিয়নে ভিজিডি চাল বিতরণের জন্য নয়টি ওয়ার্ডের ৪৯৮ জন হতদরিদ্র নারীর নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের সভায় তালিকাটি পুনরায় যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। পরে ওই তালিকাটি পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ইউএনও’র দপ্তর থেকে ওই ইউনিয়ন ট্যাগ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জুলফিকার আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ট্যাগ কর্মকর্তা তালিকাটি চূড়ান্ত করে ইউএনও দপ্তরের মাধ্যমে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠিয়ে দেন। পরে সর্বশেষ চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী কার্ড বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হলে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার পাড় বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত তালিকার সঙ্গে ট্যাগ কর্মকর্তার পাঠানো তালিকাটি মিলিয়ে দেখার সময় ১২১ জন উপকারভোগীর নামের গরমিল পাওয়া যায়। পরে তালিকাটি পুনরায় যাচাই বাছাই করতে গিয়ে তার ও সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় ৩৪ পৃষ্ঠার তালিকার ১৫টি পাতা পরিবর্তন করে সেখানে জাল স্বাক্ষর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ট্যাগ কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ করে তিনি বলেন, ট্যাগ কর্মকর্তা প্রায় এক সপ্তাহ ফাইলটি আটকে রেখে কাটা ছেড়া করেছেন ও স্বাক্ষর জাল করেছেন। তার এ কাজে সহযোগিতায় ইউনিয়নের দুইজন মেম্বরও জড়িত আছেন। তারা পরষ্পর যোগসাজসে আর্থিক সুবিধা নিয়ে এ কাজটি করেছেন। এতে করে তার ইউনিয়নের অসহায় মহিলাদের মাঝে ভিজিডি’র কার্ড বিতরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ইউনিয়নের ট্যাগ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ইউএনও তালিকায় উপকারভোগীদের নাম ঠিকানা সঠিক আছে কি-না তদন্ত করে দেখতে বলেন। এ জন্য তালিকাটি দুইদিন তার কাছে ছিল। পরে তালিকা ইউএনও’র দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। সেখানে কারও স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে কি না জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান বলেন, ভিজিডির তালিকায় নাম পরিবর্তন ও স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় যে জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



রাইজিংবিডি/খুলনা/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়