ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস গোপন রাখা হয়েছিল’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ২৯ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস গোপন রাখা হয়েছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ২১ বছর স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস গোপন রাখা হয়েছিল। মিথ্যা তথা বিকৃত ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বঙ্গবন্ধুবিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনী ও পাঠ’ কর্মসূচির সমাপনী ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় পাঁচ দিনব্যাপী (২৫-২৯ আগস্ট) এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর এতে অংশ নেয়।  

কে এম খালিদ বলেন, ২১ বছর স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস গোপন রাখা হয়েছিল। মিথ্যা তথা বিকৃত ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ফলে সে সময়ের ছাত্রছাত্রীরা স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণের সামনে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস উন্মোচিত হয়। নতুন প্রজন্ম সৌভাগ্যবান যে তারা স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে পারছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম, বেড়ে ওঠা, লেখাপড়া এবং বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জানতে পেরেছে, যেটি তাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপ-পরিচালক সুহিতা সুলতানা। উপস্থাপনা করেন রূপা চক্রবর্তী।

‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই পাঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ হলো- বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ।

পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আবরার মাহমুদ হাসান। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী আফিয়া ফারজানা, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নাফিস রাইয়ান মৃধা (শ্রেষ্ঠ) ও বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র রাইয়ান তৌসিফুর রহমান। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মাসিয়া মৃত্তিকা হাবিব মিমি।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ আগস্ট ২০১৯/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়