ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হত‌্যাকাণ্ডের বছর ২০১৯

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হত‌্যাকাণ্ডের বছর ২০১৯

কদিন পরই শুরু হচ্ছে নতুন বছর। তবে বিদায়ী বছর ঢাকাসহ সারা দেশে বেশকিছু নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হয়েছে।

পুলিশের খাতায় চাঞ্চল্যকর হিসেবে ২০১৯ সালে বরগুনায় রিফাত শরীফকে স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ছেলেধরার গুজবে বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা বেশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হয়।

আবরার হত্যা

গত ৬ অক্টোবর রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বুয়েটে দুই মাসের বেশি একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে আবরার হত্যার আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়ার পর বুয়েট কর্তৃপক্ষ ২৬ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে।

শরীফ হত্যা

২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে প্রকাশ্য কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কোপানোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা পুরো দেশবাসীকে নাড়িয়েই দেয়নি। ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। তদন্ত করে গত ১ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত এ মামলায় ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকেও আসামি করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশে তিনি জামিনে আছেন।

নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা

২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল অধ্যক্ষের সহযোগীরা পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সিরাজ-উদদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লিলতাহানির মামলা তুলে না নেয়ায় তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল ঢামেক বার্ন ইউনিটে রাতে তিনি মারা যান। দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। যে টাকা নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা আপিল করায় মামলাটি উচ্চ আদালতে শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে।

গণপিটুনি দিয়ে রেনুকে হত্যা

২০ জুলাই সন্তানের ভর্তির খোঁজ নিতে গিয়ে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ নিয় সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার উঠে। রেনুকে মারার দৃশ্য ভিড় করে মানুষ দেখছিলেন এবং অনেকে ভিডিও করছিলেন সেই দৃশ্য। কেউ তাকে বাঁচাতে আসেননি। এছাড়া ছেলে ধরা গুজবে সারা দেশে আরো ৭ টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়