ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

হলিউডের সেরা কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা (শেষ পর্ব)

রুহুল আমিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২৬ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হলিউডের সেরা কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা (শেষ পর্ব)

ছবির কোলাজ

রুহুল আমিন : হলিউড হলো সেই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি যেখানে প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। নিজের সেরাটা দিতে, নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের জন্য মন-প্রাণ উজার করে কাজ করেন তারা। পুরো হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অসংখ্য প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন, যারা নিজেদেরকে পর্দায় খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন।

হলিউডে যে কেবল শ্বেতাঙ্গদের রাজত্ব তা কিন্তু না, কৃষ্ণাঙ্গদেরও রাজত্ব আছে সেখানে। কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতারা নিজেদের মেধা ও অভিনয় প্রতিভা দিয়ে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য জায়গা করে নিয়েছেন।

শিল্প সংস্কৃতিতে সাদা-কালো বলে বিভেদ করাটা বাজে ব্যাপার। তবে এটা ঠিক যে সাদা-কালোর হিসেবও কেউ কেউ করেন। হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের নাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়া কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতাদের নিয়ে আমাদের আয়োজন।

মার্টিন লরেন্স : জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটে জন্মগ্রহণ করেন মার্টিন লরেন্স। তাকে বর্তমান সময়ে হলিউডের ষষ্ঠ সেরা অভিনেতা বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া তাকে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে হাস্যরসাত্মক কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা বিবেচনা করা হয়। তিনি এতটাই হাস্যরসাত্মক যে হাসাতে হাসাতে পেটে খিল লাগিয়ে দিতে পারেন। তবে যেকোনো সময় যে কাউকে চটাতেও পারেন। সব মিলিয়ে তাকে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে অন্যতম অভিনেতা বিবেচনা করা হয়। তিনি হলিউডের ধনী অভিনেতাদেরও একজন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো-  ‘ব্লু স্ট্রিক’,  ‘ব্যাড বয়েজ’,  ‘বিগ মোমাস হাউজ’ ও  ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ফ্যামিলি রিইউনিয়ন’।

জেমি ফক্স : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন জেমি ফক্স । বর্তমান সময়ে হলিউডের সপ্তম সেরা অভিনেতা বিবেচনা করা হয় তাকে। এ ছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতাদের মধ্যে তাকে সর্বকালের সেরা আকর্ষণীয় অভিনেতা বিবেচনা করা হয়, যা ভক্তদের মাঝে তার শক্ত অবস্থান তৈরি করতে ভূমিকা রেখেছে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জেমি ফক্স শুধু ভালো অভিনেতাই নন, তিনি একজন কৌতুকাভিনেতা ও হিপ হপ শিল্পীও। তার অভিনীত শ্রেষ্ঠ সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ল অ্যাবাইডিং সিটিজেন’,  ‘রে’, ‘জ্যাঙ্গো আনচেইনড’। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী জেমি বেশ কিছু শ্রোতা নন্দিত গানও তৈরি করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে -‘আনপ্রেডিকটেবল’,  ‘বেস্ট নাইট অব মাই লাইফ’ ইত্যাদি।

কিউবা গুডিং জুনিয়র : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন কিউবা গুডিং জুনিয়র। তাকে হলিউডের বর্তমান সময়ের অষ্টম সেরা কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা বিবেচনা করা হয়। তিনি সহজাত অভিনেতা এবং তার অভিনয় দক্ষতা সেই মহিমার কথাই যেন বলে। এক কথায় বলা যায় তিনি যখন অভিনয় করেন তখন দর্শকরা পর্দা থেকে চোখ ফেরাতে পারেন না।  বেশকয়েকটি সিনেমায় তার করা অভিনয় এক কথায় অসাধারণ এবং অপূর্ব। ১৯৯১ সালে তার প্রথম সিনেমা ‘বয়েজ এন দ্য হুড’ তাকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। এর আগে অবশ্য তিনি কয়েকটি সিনেমায় অতিথি শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন।  এরপর বেশকয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন এবং অভিনয়ের নেশায় পড়ে যান। আর ১৯৯৬ সালে ‘জেরি ম্যাগুয়ার’ সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রের জন্য তিনি অস্কার জিতেন। এ ছাড়াও তিনি বেশকয়েকটি পুরস্কার জিতেছেন।

লরেন্স ফিশবার্ন : যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন লরেন্স ফিশবার্ন। তাকে বর্তমান সময়ে হলিউডে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে নবম সেরা অভিনেতা বিবেচনা করা হয়। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় জগতে আছেন। মজার ব্যাপার হলো, শুরুর মতোই এখনো তার ভক্তদের কাছে সমান জনপ্রিয় তিনি। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে তার অর্জন অনেক সময় শ্বেতাঙ্গ অভিনেতাদের মাঝেও জ্বালা তৈরি করে।  ‘হোয়াটস লাভ টু ডু উইথ ইট’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি অস্কারে মনোনীত হন। এই থেকেই বোঝা যায় লরেন্স কেমন প্রতিভাবান অভিনেতা। তিনি বেশ কয়েকটি টেলিভিশন নাটকেও কাজ করেছেন। অভিনয় জীবনে তিনি বেশকয়েকটি পুরস্কার ও ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন।

ডন চিডল: যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে জন্মগ্রহণ করেন ডন চিডল। ‘ডেভিল ইন অ্যা ব্লু ড্রেস’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। কঠোর পরিশ্রমী এই অভিনেতাকে বতর্মান সময়ে হলিউডের সেরাদের একজন বিবেচনা করা হয়। আর কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তার অবস্থানে দশম। তার অভিনয় দক্ষতা বিস্ময়কর। অভিনয়ের বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই অভিনেতা ইতোমধ্যে বেশকয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে নিজের নাম অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন শক্তিমান অভিনেতা হিসেবে।  তার অভিনয় এক কথায় অসাধারণ। এ ছাড়া তিনি একজন সমাজকর্মী এবং দারফুরে গণহত্যা বন্ধে ক্যাম্পেইনও করেছেন। তিনি লেখকও। একক ও যৌথভাবে বেশকয়েকটি বই লিখে ভক্তদের মাঝে নিজের আলাদা এক প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। ২০১০ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত এক কার্যক্রমের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেন তিনি।

সূত্র : টেনিসসাইডার ডটকম

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মার্চ ২০১৭/মারুফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়