ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হোটেলে কর ফাঁকির অভিযোগ, খাতা জব্দ

জে.খান স্বপন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হোটেলে কর ফাঁকির অভিযোগ, খাতা জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশাল নগরীর অভিজাত আবাসিক হোটেল ‘এরিনা’, একই ভবনে অবস্থিত রেস্টুরেন্ট ‘হ্যান্ডি করাই’ এবং বার ‘কমিউনিটি ক্লাবে’ অভিযান চালিয়েছে কর বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় আবাসিক হোটেলে আয়ের সঙ্গে কর দেওয়ার ব্যাপক পার্থক্য খুঁজে পাওয়ায় রেজিস্ট্রার খাতা জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের বিষয় টের পেয়ে ‘হ্যান্ডি করাই’ ও ‘কমিউনিটি ক্লাব’র হিসাব-নিকেশের সব তথ্য লুকিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরিশালের অন্যতম অভিজাত আবাসিক হোটেল এরিনা। এর মালিক শফিকুল আলম গুলজার। তার মালিকানাধীন হ্যান্ডি করাই এবং কমিউনিটি ক্লাব। দীর্ঘ দিন ধরে এ তিনটি প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযান চালায় কর অঞ্চল বরিশালের কর্মকর্তারা। 

এ ব্যপারে অভিযান পরিচালনাকারী বরিশাল কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার আ. আশরাফুজ্জামান জানান, আবাসিক হোটেল এরিনায় আয়ের সঙ্গে প্রদানকৃত রশিদের মিল পাওয়া যায়নি। বড় অংকের কর ফাঁকির হিসাবে মিলেছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তাদের নিজস্ব খাতায় আয় দেখানো হয়েছে ১৩০০০ টাকা। আর রশিদে দেখানো হয়েছে ৪৫০০ টাকা। একইভাবে ২ জানুয়ারি ৭৬০০ টাকা আয়ের বিপরীতে দেখানো হয়েছে ৩৫০০ টাকা। ৪ জানুয়ারি ২৫৬০০ টাকার বিপরীতে ৩০০০ টাকা। আর ৫ ও ৬ জনুয়ারি ৭৯৯০০ টাকা আয় তাদের নিজস্ব রেজিস্ট্রারে উঠানো হলেও আমাদের দেখানো হয়েছে ওই দুই দিন কোনো আয়ই হয়নি। তাই হোটেলের রেজিস্ট্রার খাতা জব্দ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. জাহিদ হাছান জানান, আবাসিক হোটেলে কিছু আয় দেখানো হলেও এ মালিকের পরিচালিত ওই ভবনের ৯ম ও ১০ তলার ‘হ্যান্ডি করাই’ ও ‘কমিউনিটি ক্লাবে’ কোনো আয় দেখানো হয়নি। অথচ আবাসিক হোটেলের চেয়ে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানে আয় বেশি হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

সহকারী কম কমিশনার মো. জাফর ইমাম জানান, চলতি মাসে বরিশাল কর অঞ্চল তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে। এতে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা কর আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বেলভিউ থেকে ৩ লাখ টাকা ও রকমারি মালামাল বিক্রিয় প্রতিষ্ঠান কাজী ব্রদাস থেকে ৩ লাখ টাকা কর আদায় করা হয়েছে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কর কমিশনার আনন্দ কুমার সাহা, তরঙ্গ কুমার মন্ডল, গাইন-ই নাজ, মো. মেহেদি মাসুদ ফয়সাল ও বিদ্যুৎ সিকদার।



রাইজিংবিডি/বরিশাল/১৮ জানুয়ারি ২০১৭/জে. খান স্বপন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়