ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১০ মিনিটের ঝড়ে ভেঙে গেল স্বপ্ন

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ১১ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১০ মিনিটের ঝড়ে ভেঙে গেল স্বপ্ন

অনেক স্বপ্ন ছিল মুরগির খামার ও মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হবেন। পরিবার নিয়ে ভালভাবে বাঁচার ও ছেলে-মেয়েদের লেখা-পাড়া শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করারও স্বপ্ন ছিল দুই বন্ধুর।

কিন্তু মাত্র ১০ মিনিটের কাল বৈশাখী ঝড়ে তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল দুই বন্ধুর।

রোববার (১০ মে) রাতে কাল বৈশাখী ঝড়ে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের হারাধন পোদ্দার ও কৌশিক বাইনের মৎস্য ও পোল্ট্রি খামারের ছয়টি শেড ও ছয়টি খাবার রাখার ঘর তছনছ হয়ে যায়।

মারা যায় খামারের সাড়ে ১২ হাজার মুরগি। এসব মুরগি পরদিন সোমবার (১১ মে) বিক্রি করার কথা ছিল। সব মিলিয়ে খামারের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কররছেন দুই বন্ধু।

খামারী হারাধন পোদ্দার বলেন, ‘আমরা দু’জনে এলাকার বৈরাগীটোল গ্রামে বছরে তিন লাখ টাকা চুক্তিতে ৩২ বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। এসব জমিতে আটটি মুরগির শেড তৈরি করেছি। প্রতিটি শেড তৈরিতে খরচ হয়েছে তিন লাখ টাকা করে। আটটি খাবার রাখার ঘর তৈরি করেছি। এগুলো বানাতে খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা করে। তিন বছর ধরে পোল্ট্রি ও মাছের ব্যবসা করে আসছি। অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে সাজিয়ে ছিলাম খামারটি।’

কৌশিক বাইন বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন ছিল আমরা স্বাবলম্বী হব। পরিবার নিয়ে ভালভাবে বাঁচব ও ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়া শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করব। কিন্তু গত শনিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ১০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের সে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। আমরা ব্র্যাক ও অগ্রণি ব্যাংক থেকে অনেক টাকা লোন নিয়েছি। এ লোন কীভাবে শোধ করবো? এই খামার আবার কীভাবে দাঁড় করাব তাই নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, পোল্ট্রি শিল্প বাচাঁতে সরকার যেনো আমাদের পাশে দাঁড়ায়।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেন, ‘সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোলের হারাধন পোদ্দার ও কৌশিক বাইনের খামারটি পরিদর্শন করেছি। খামারটির ছয়টি শেড, খাবার রাখার ছয়টি ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মুরগি মারা গেছে। তাদের অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা বিষয়টি আমাদের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সচিত্র প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। এরপর আমরা ক্ষতিগ্রস্ত খামারটির ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

গোপালগঞ্জ/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়