ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১০০ জনের সাক্ষ্য শেষ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২৭ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১০০ জনের সাক্ষ্য শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলায় মঙ্গলবার পুলিশ-চিকিৎসকসহ তিন জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সাক্ষীরা হলেন- কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ, ইউনাইটেড হাসপাতালের ডা. সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা ও ডা. মো. নাদিম মাহবুব।

মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্য নেয়ার পর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ২৯ আগস্ট ঠিক করেছেন।

এ নিয়ে মামলাটিতে এখন পর্যন্ত চার্জশিটভূক্ত ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

জবানবন্দিতে পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ বলেন, ‘২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান থানাধীন এলাকায় ডিউটিরত অবস্থায় রাত ৮.৫০ মিনিটের দিকে সংবাদ আসে হলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। তখন আমিসহ একটা টিম রাত ৯ টার সময় ঘটনার স্থানে পৌঁছানো মাত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে বোমা, গুলি নিক্ষেপ করতে থাকে। জবাবে আমরাও পাল্টা গুলি করি। এরপর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে একটি অভিযান পরিচালনা করি। এ অভিযানের সময় দেশী-বিদেশী ২২ জনেরও বেশী আহত হন। আহতদের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি অবস্থায় এসি রবিউল ও ওসি সালাউদ্দিন মৃত্যু বরণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম সকালে একটি অভিযান পরিচালনা করেন। এরপর জানতে পারি ঘটনাস্থলে ৫ জঙ্গি নিহত হয়েছে।’

সাক্ষ্য নেয়ার সময় আসামি মামুনুর রশীদ, শফিকুল ইসলাম, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খানকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

২০১৬ সালে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। সন্ত্রাসীরা রাতের বিভিন্ন সময়ে জিম্মি অবস্থায় থাকা তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭আগস্ট ২০১৯/মামুন খান/ সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়