ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৯৪ কোটি টাকা লোপাটে আসামি ১৪

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২১, ৩১ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৯৪ কোটি টাকা লোপাটে আসামি ১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এবি ব্যাংক ও এনআরবি ব্যাংক থেকে প্রায় ৯৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর মধ্যে এবি ব্যাংকের এলসি’র বিপরীতে রপ্তানি না করে রড তৈরির কাঁচামাল দেশের বাজারে বিক্রি করে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আট জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।

অন্যদিকে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ নিয়ে এনআরবি ব্যাংকের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির তিন কর্মকর্তাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি দায়ের করে সংস্থাটি।

বুধবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদি হয়ে মামলা তিনটি করেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, এবি ব্যাংকের এলসি’র বিপরীতে বিদেশ থেকে পুরাতন জাহাজ এনে সরাসরি দেশের বাজারে বিক্রি করে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। এর মধ্যে এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম পাহাড়তলী শাখা থেকে ম্যাপস ষ্টীল কর্পোরেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান এলসির বিপরীতে ঋণ নিয়ে সুদসহ ৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মাসৎ করেছে এমন অভিযোগে ছয় জনকে আসামি করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- ম্যাপস ষ্টীল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাতেমা বেগম মিলি, নির্বাহী পরিচালক মো. হামিদুর রহমান, অর্থ পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, টেকনিক্যাল পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন এবং ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড রিলেশনশীপ ম্যানেজার মহিউল আলী আজমী।

এ মামলার এজাহারে বলা হয়, ম্যাপস ষ্টীল কর্পোরেশন ২০১২ সালে এবি ব্যাংক থেকে এলসির বিপরীতে ঋণ নিয়ে বিদেশ থেকে পুরাতন জাহাজ আমদানি করে তা দেশের বাজারে বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেনি। এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম পোর্ট কানেকটিং রোড শাখা থেকে মেসার্স শাহেদ শীপ ব্রেকিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান একইভাবে ঋণ নিয়ে সুদসহ ব্যাংকটির ৩০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। যেখানে আসামি হয় মেসার্স শাহেদ শীপ ব্রেকিংয়ের মালিক মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া ও ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিন।

তৃতীয় মামলার আসামিরা হলেন- এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সোহানুর রহমান (বর্তমানে ব্রাক ব্যাংকের এভিপি), ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ বিন আহমেদ ও হেড অব ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অফিসার মাহবুবুজ্জামান। এছাড়া ঋণ গ্রহন করা প্রতিষ্ঠান আল-ফাহাদ টিকেটিং অ্যান্ড মেডিকেল টুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিব হাসান হায়দার ও পরিচালক ফারজানা লাবনী এবং জিওলোজাইজ সার্ভে কর্পোরেশনের মালিক মো. মিজানুর রহমান কনককে আসামি করা হয়। এ মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ২০১৫ সালে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহক ও ব্যাংকের দখলবিহীন জমি বন্ধক দেখিয়ে ঋণ প্রদান করেন। পরবর্তিতে সুদসহ পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। যেখানে মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জুলাই ২০১৯/এম এ রহমান/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়