ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

বাংলাদেশিদের ৭৬ লাখ ভিডিও মুছেছে টিকটক

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ৮ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১০:৩৮, ৮ জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশিদের ৭৬ লাখ ভিডিও মুছেছে টিকটক

বিশ্বের জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭২ লাখ ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে। নীতিমালা ভঙ্গের কারণে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের এই বিপুল সংখ্যক ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে।

টিকটক তাদের সর্বশেষ কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক। যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণের হার ছিল ৯৯.৪ শতাংশ এবং যেসব ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে তার মধ্যে ৯৪ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে কেবল এক দিনের মধ্যেই। 

ভুল তথ্যের প্রচার রোধে এবং অনলাইনে নিরাপত্তা বজায় রাখতে টিকটকের কঠোর অবস্থান প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে টিকটক ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে মোট ১৬ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩০৭টি ভিডিও সরিয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা সকল ভিডিওর প্রায় ০.৯ শতাংশ। এর মধ্যে ১২ কোটি ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৩টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত এবং অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৬০ লাখ ৪২ হাজার ২৮৭টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে।

এছাড়া, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩ মাসে অসংখ্য অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে টিকটক। ১৩ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারী হওয়ার সন্দেহে বিশ্বজুড়ে এমন অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে মোট ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৪টি। 

টিকটক এবার প্রথমবারের মতো কমেন্টের সেফটি টুলসগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সরানো এবং ফিল্টার করা কমেন্টের পরিমাণ প্রকাশ করেছে। টিকটক কমেন্টের সেফটি টুলসের মাধ্যমে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৯৭ কোটি ৬৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৬টি কমেন্ট সরিয়েছে এবং ফিল্টার করেছে, যা পোস্ট করা সকল কমেন্টের ১.৬ শতাংশ। এছাড়া, এই টুলস ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মের ক্রিয়েটররা ৩৩৮ কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭২২টি কমেন্ট ফিল্টার অথবা অপসারণ করেছে।

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পাওয়া যাবে টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারে। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় এটি প্রকাশ করা হয়েছে।

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়