ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ২ শতাধিক

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২৬ জুলাই ২০২৪  
রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ২ শতাধিক

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রংপুরে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় সহিংসতার ঘটনায় ১২টি মামলা হয়েছে। জেলা ও মহানগর পুলিশসহ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দায়ের করা এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২ শতাধিক আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি রয়েছে আরো কয়েক’শ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি ক্রাইম ও মিডিয়া উৎপল রায়। আন্দোলনের সময় সহিংসতার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এডিসি ক্রাইম উৎপল রায় জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ দেড় শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে ৮টি মামলা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৪টি মামলা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। যাচাই-বাছাই শেষে মামলাগুলো গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সহিংসতার ঘটনায় রংপুর জেলা পুলিশে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে জেলা পুলিশের গ্রেপ্তার সংখ্যা ৪২ জন।  

এছাড়া, র‌্যাব-১৩ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের সময় সহিংসতার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের ভিডিও ক্লিপ দেখে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

নথিপত্রের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাজহাট থানায় আমাদের ব্যাপক আলামতের ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জিনিসপত্র আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার ডকেট পুড়েছে, পুলিশ ফাঁড়ি পুড়েছে, গাড়ি পুড়েছে। অনেক কিছুর ক্ষতি হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা নাশকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।’

প্রসঙ্গ, কোটা আন্দোলনের সময় রংপুরের তাজহাট থানা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র বাসভবন, মেট্রোপলিটন ডিবি কার্যালয়, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি, জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের দলীয় কার্যালয়, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সমবায় মার্কেট, জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মার্কেট, বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস, ঢাকা ব্যাংকের বুথসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।

আমিরুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়