মুহাম্মদ ইউনূসকে যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন : শফিক রেহমান
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান।
তিনি বলেন, “তাকে (ইউনূস) যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন। কাজ করার সুযোগ দিন। ১৭ বছরের জঞ্জাল ১৫ দিনে যাবে না।”
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন চান শফিক রেহমান। শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিনের আদেশ দেন। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শফিক রেহমান বলেন, “এখানে একজন অনভিপ্রেত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যার নাম সজীব ওয়াজেদ জয়। আমি তার নাম উচ্চারণ করতে চাচ্ছিলাম না। তার অপহরণ মামলায় আজকে আমি এখানে। যা তথাকথিত একটা মামলা। যেটা নিউইয়র্কে ডিসমিস করা হয়েছে।
“নিউইয়র্কে বলে দেওয়া হয়েছে এই মামলায় শফিক রেহমানের নাম যেন কোথাও না থাকে। সে মামলার সারসংক্ষেপ ও কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমার আইনজীবীরা আপনাদের দেখাতে পারবেন। আমার নাম আমেরিকাতে নাই, যেখানে ১০ হাজার মাইল দূরে মামলা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আপনাদের আমি চ্যালেঞ্জ দিতে চাই। আপনারা খুঁজে বের করুন সজীব ওয়াজেদ জয় কিভাবে এবং কেন আমেরিকা গিয়েছিল। আপনারা খুঁজে বের করুন আব্দুল আওয়াল মিন্টুর বাসার সামনে মধ্যরাতে জনতা ব্যাংকের একজন স্টাফ কিভাবে পিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিল। কে গাড়ি চালাচ্ছিল এবং সে কোথায় এখন। এইটা আপনারা খুঁজে বের করেন তাহলে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে কেন? মামলা হওয়ার কথা তার বিরুদ্ধে যিনি জনতা ব্যাংকের একজন স্টাফকে পিষ্ট করে মেরেছে। আমি তার নাম নিতে চাচ্ছিলাম না। তারপরও বারবার এসে যাচ্ছে। সে কীভাবে এবং কেন আমেরিকা যেতে হয়েছিল এইটা আপনারা জানতে চান।”
মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে শফিক রেহমান বলেন, “আমি ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ তিনি দেশে টাকা আনছেন। আর যারা নির্বাচন চাচ্ছেন তাদের দুটি কথা বলতে হবে। টাকা আসবে কোথা থেকে? টাকা না আসলে বেতন পাবেন না, জিনিসপত্রের দাম কমবে না।
“ড. ইউনূস একজন খ্যাতিমান লোক, তার আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেকেই দিচ্ছেন। সুতরাং ড. ইউনূসকে আপনারা যেতে দিবেন না। তাকে ধরে রাখুন, কাজ করতে দিন। ১৭ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা সম্ভব হবে না।”
ঢাকা/মামুন/রাসেল