ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

কমেছে সবজির দাম, ক্রেতাদের স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১০:২০, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
কমেছে সবজির দাম, ক্রেতাদের স্বস্তি

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রত্যেক সবজির দাম গড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০ টাকা, ফুলকপির জোড়া ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, দেশি শসা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুমুখী ৭০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, মূলা ৩০-৪০ টাকা ও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।

আরো পড়ুন:

এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে মাছের দাম। মাঝারি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫০-৩০০ টাকা, বড় সাইজের পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২০০ টাকা, শিং ৪০০-৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা ও দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, নদীর মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দাম কিছুটা কমেছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০-২১০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা, লাল কক ৩৫০ টাকা। তবে, গরুর মাংস আগের মতোই  ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি, মাছ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজ ও আলুর উচ্চ মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১৫-১২০ টাকা। নতুন আলু ৯০ টাকা, পুরাতন আলু ৭০ টাকায়। এদিকে, রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে, দেশি আদা ১২০ টাকা।

রাজধানীর দয়াগঞ্জ কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী চন্দ্রা বালা বলেন, ‘‘দাম একটু কমায় চাহিদামত কেনাকাটা করতে পারছি। আশা করি, আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমবে।’’

রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি বিক্রেতা সবুজ শিকদার বলেন, ‘‘সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে, আরো কমবে। কারণ এখন হাইওয়েতে চাঁদাবাজি নাই। ফলে আমরা ন্যায্যমূল্যে ক্রেতাদের হাতে সবজি তুলে দিতে পারছি।’’

ঢাকা/রায়হান/রাজীব

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়