বেশিক্ষণ টয়লেটে থাকলে শরীরে যেসব পরিবর্তন আসে
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
টয়লেটে মলত্যাগ করতে কারও তিন থেকে পাঁচ মিনিট লাগে আবার কারও ক্ষেত্রে ৮- ১০ মিনিট লেগে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্টোন ব্রুক মেডিসিনের ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ সেন্টারের পরিচালক ডা. ফারাহ মঞ্জুর জানিয়েছেন, টয়লেটে কোনোভাবেই ১০ মিনিটের বেশি থাকা উচিত নয়।
সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি মানুষকে মাটির দিকে টেনে ধরে রাখে। ফলে শরীরের নিচের অংশ থেকে রক্ত টেনে ওপরে তুলতে হৃৎপিণ্ডকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কমোডে বসলে মলনালি নিম্নগামী থাকে। ফলে শরীরের নিম্নাংশ থেকে রক্ত টেনে তোলা হৃৎপিণ্ডের জন্য অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে রক্তচাপে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস সাউথওয়েস্টার্ন মেডিকেল সেন্টারের কোলোরেক্টাল সার্জন ডা. লাই ঝু সি বলেন, ‘‘কমোডে বসে থাকার সময় রক্ত নিচের দিকে বেশি সঞ্চালিত হয়। ফলে মলদ্বার ও মলনালির আশপাশে থাকা রক্তের শিরা–উপশিরা ধমনি রক্তচাপে স্ফিত হয়ে পড়ে। যা মলদ্বার থেকে রক্তপড়া, শ্রোণিদেশের পেশি বা নিতম্বের অঞ্চল দুর্বল হয়ে যাওয়া, পাইলস বা অর্শরোগের ঝুঁকিসহ নানা জটিলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।”
অনেকে টয়লেটের কমোডে বসে মোবাইল ফোন দেখেন। এতে মেরুদণ্ড ও এর আশপাশের পেশিগুলোয় চাপ পড়ে। এতে পিঠে ও কাঁধে অস্বস্তি শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া টয়লেটে বসে মোবাইল ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাই টয়লেটে বেশি সময় না কাটানোই ভালো।
টয়লেটে ১০ মিনিটের বেশি সময় কাটালে কোষ্টকাঠিন্যসহ অন্য আরও অনেক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। দীর্ঘ সময় কমোডে বসে থাকার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি পায়ুপথ দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়বে।
ঢাকা/লিপি