ধানমন্ডিতে হাসান আরিফের প্রথম জানাজা, অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা
এ এফ এম হাসান আরিফের জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এশার নামাজের পর ধানমন্ডি সাত নম্বরে বায়তুল আমান মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে তার আরেকটি জানাজা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত তার মেয়ে দেশে ফেরার পর দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তার মেয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় দেশে পৌঁছাবেন।
এর আগে আজ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান উপদেষ্টা হাসান আরিফ। তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মোয়াজ আরিফ।
মোয়াজ আরিফ বলেন, “বাবা অসুস্থ বোধ করছিলেন। হঠাৎ মেঝেতে পড়ে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন”।
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছিলেন হাসান আরিফ। পরে হাসান আরিফকে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় হাসান আরিফের জন্ম। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি করেন।
হাসান আরিফ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তিনি ১৯৭০ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। তিনি ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন।
উপদেষ্টা হাসান আরিফের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস
হাসান আরিফ তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিম বাংলার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে। এরপর ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এর আগে।
এর মধ্যে আছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন লিমিটেড এবং গ্রামীণফোন বাংলাদেশ। তিনি বর্তমানে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা।
ঢাকা/হাসান/সাইফ