চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলবে সিলেট: আরিফুল
মাশরাফি বিন মুর্তজা নেই। নেই বলতে স্কোয়াডে আছেন ঠিকই। কিন্তু খেলার জন্য ফিট নন। এমনটাই জানানো হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে তাহলে নেতৃত্ব দেবেন কে? সেটা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ ছিল না।
স্কোয়াডে জাকির হাসান, জাকের আলীর মতো প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার আছেন। রনি তালুকদারের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও আছেন। কিন্তু তারা কেউই অধিনায়কত্বে রাজি নন। শেষমেশ সিলেট স্ট্রাইকার্ক নেতা হিসেবে বেছে নেন আরিফুল হককে। তাকে অধিনায়ক করায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছে। তবে সিলেটের আর উপায়ও ছিল না।
প্রশ্ন উঠছে, আরিফুল কি প্রস্তুত ছিলেন? আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪) দুপুরে নিজের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘কথাবার্তা চলছিল। কাল রাতে চূড়ান্ত হয়েছে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভালো লাগছে এরকম একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার। এটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ।’’
হুট করে পাওয়া অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছেন না আরিফুল, ‘‘ আমার কাছে মনে হয় না কোনো চাপের। উনারা যারা বিদেশি ক্রিকেটার আছেন, সঙ্গে যারা আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটার আছেন সবাই অনেক ম্যাচিউর। সবাই আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার। সবার কাছ থেকে আমি সাহায্য পাব। তাদের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে। এখানে চাপের কিছু আছে আমার মনে হয় না।’’
ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগে রংপুর বিভাগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এছাড়া বিপিএল খেলছেন ২০১২ সাল থেকে। সেসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা বললেন সিলেটের অধিনায়ক, ‘‘আমি জাতীয় লিগে অধিনায়কত্ব করেছি। আমার যতদিনের অভিজ্ঞতা আছে। ১২ বছর (আসলে ১১) ধরে বিপিএল হচ্ছে। আমি সবকটি আসরেই খেলেছি। সে কারণে অধিনায়কত্ব আমার কাছে প্রথমবার মনে হচ্ছে না।’’
কাগজে কলমে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে নিয়ে বাজি ধরার লোক খুব একটা পাওয়া যাবে না। স্কোয়াডে বড় নামের তারকা ক্রিকেটার নেই। স্থানীয় ক্রিকেটার সংগ্রহে এগিয়ে থাকলেও বিদেশি ক্রিকেটার তেমন জড়ো করতে পারেনি। তবুও আরিফুল বড় স্বপ্ন দেখালেন। ফাইনাল খেলা বটেই। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সিলেট লড়বে সেই ঘোষণাও দিয়ে রাখলেন, ‘‘সত্যি বলতে আমাদের বোলিং আক্রমণ অনেক ভালো। আমাদের লোয়ার অর্ডারে ভালো ব্যাটসম্যান আছে। উপরের দিকে এবং আমাদের বিদেশি ওপেনাররা ভালোমানের। আমার কাছে মনে হয়, ফাইনালে খেলা আমরা চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য যেতেই পারি।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল