ইয়াসিরের ব্যাটে চার-ছক্কার বৃষ্টি, রাজশাহীর পুঁজি ১৯৭
ইশ! আরেকটি বল যদি থাকতো? তাহলে হয়তো বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা মিলত! ইয়াসির আলী চৌধুরীর ব্যাটে আরেকটি ছক্কা হলেই মিলে যেত সমীকরণ।
ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ায় সেঞ্চুরি ছোঁয়া হলো না ইয়াসিরের। কিন্তু ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দুর্বার রাজশাহীর ব্যাটসম্যান যে ঝড় তুললেন তা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ইয়াসির ৪৭ বলে করেছেন ৯৪ রান। যেখানে ৭ চারের সঙ্গে ৮ ছক্কা হাঁকিয়েছেন চারে নামা ইয়াসির। দুইশ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংসটি সেঞ্চুরিতে রূপ পেলে নিশ্চিতভাবেই পূর্ণতা পেত।
তবে যতটুকু হয়েছে সেটাও কম কিসের। ইয়াসিরের সঙ্গে দ্যুতি ছড়িয়েছেন রাজশাহীর ওপেনার এনামুল হক। ৫১ বলে ৬৫ রান করেছেন ৪ চার ও ৫টি ছক্কায়। দুজন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রান জমা করেন। তাতে রাজশাহীর বড় পুঁজির ভিত গড়ে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১৯৭ রান করে রাজশাহী।
এর আগে ইনিংসের শুরুতে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন জিসান আলম। ভালো শুরুর পর ইনিংস বড় করতে পারেননি মোহাম্মদ হারিস (১৩)। সেখান থেকে হাল ধরেন ইয়াসির ও এনামুল। দুজনের জমাট জুটিতে এগিয়ে যায় রাজশাহীর রান। ফাহিম আশরাফকে দারুণ স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মেরে ৪২ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান এনামুল হক। রিপন মণ্ডলকে চার মেরে ইয়াসির ফিফটি স্পর্শ করেন ৩৫ বলে।
তখনও বোঝা যাচ্ছিল ইয়াসিরের সেঞ্চুরির সুযোগ তৈরি হতে পারে। ঝড় তুলে পরের ১২ বলে ৪৬ রান করেন। যেখানে পেসার রিপন মণ্ডলের উপর রীতিমত ঝড় তোলেন এ ব্যাটসম্যান। তার দুই ওভারে ৩টি করে চার ও ছক্কা মারেন। শেষ দিকে রায়ান বার্ল ৮ বলে ৯ রান করলেও দলের দাবি মেটাতে পারেননি। সেখানে ইয়াসির স্ট্রাইক পেলে সেঞ্চুরিটা হয়তো হয়েই যেত।
বোলিংয়ে অভিষেক রাঙানো হয়নি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এছাড়া রিপন মণ্ডল ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান। ভালো করেননি তানভীর ইসলামও। ৪৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। কাইল মায়ার্স ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল