ঢাকা     মঙ্গলবার   ০১ এপ্রিল ২০২৫ ||  চৈত্র ১৯ ১৪৩১

পুরানে পরান পুড়ল হায়দরাবাদের

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৩, ২৮ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ১১:২৬, ২৮ মার্চ ২০২৫
পুরানে পরান পুড়ল হায়দরাবাদের

একটা সময় ছিল আইপিএলে, যখন প্রথম ব্যাট করা দল ১৭০ রান করলেই নিজেদের নিরাপদ ভাবত। সময়ের পরিক্রমায় এবং স্পন্সরদের চাপে দিন-দিন উইকেট হয়ে যাচ্ছে একদম ফ্ল্যাট। যেখানে বোলারদের জন্য কিছুই থাকছে না। দুইশ রানই এখন আর নিরাপদ না। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫ উইকেটে হারিয়ে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস সেই ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট করল।

টস জিতে প্রথমে হায়দরাবাদকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ করে লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। শুরুটা ভালো না হলেও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯০ সংগ্রহ করে প্যাট কামিন্সের হায়দরাবাদ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লক্ষ্ণৌ।

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঋষভ পন্থ টস জিতে ফিল্ডিং নিলে, সফরকারী লক্ষ্ণৌ সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। তাদের যা বোলিং লাইন-আপ, তাতে হায়দরাবাদ না আবার ৩০০ করে ফেলে! তবে শার্দুল ঠাকুরের বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তা হয়নি। এই পেসার দলের তৃতীয় ওভারে, টানা দুই বলে হায়দরাবাদ ওপেনার আভিষেক শর্মা এবং গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ঈশান কিষাণকে সাজঘরে ফেরান। আভিষেক শর্ট ডেলিভারিতে আউট হন। ঈশান লেগ সাইডে একটি সাধারণ বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন।

আরো পড়ুন:

এরপর ট্রাভিস হেড আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। আভেশ খানের ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে ১৮ রান তুলে নেন। দুইবার ভাগ্যের সাহায্যও পান এই অজি ব্যাটসম্যান। প্রিন্স যাদবের প্রথম আইপিএল উইকেটে পরিণত হওয়ার আগে ২৮ বলে ৪৭ করেন তিনি। স্বাগতিক ব্যাটিং লাইন-আপের সবচেয়ে বড় নাম হেনরিখ ক্লাসেন ১৭ বলে ২৬ করে দুঃখজনক রান আউটের শিকার হন। তরুণ আনিকেত বর্মা ১৩ বলে ৩৬ রানের একটি দ্রুতগতির ইনিংস খেলেন, যেখানে ৫টি ছক্কা ছিল। একদম শেষে স্বাগতিক অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৪ বলে ১৮ রান করেন ৩ ছক্কায়। শার্দুলের শিকার করেন ৪ ব্যাটসম্যান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লক্ষ্ণৌ শুরুতেই এইডেন মার্করামকে হারায়। তবে দ্বিতীয় উইকেটে মিচেল মার্শকে নিয়ে পুরান ১১৬ রানের বিস্ফোরক জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। পুরান ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তিনি সিমারজিৎ এবং আভিষেক শর্মাকে বিশাল ছক্কা হাঁকান। এই ক্যারিবিয়ানের কল্যাণে পাওয়ার’প্লেতে লক্ষ্ণৌ ১ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান সংগ্রহ করে ফেলে। পুরান মাত্র ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন, যা এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত দ্রুততম। নবম ওভারে কামিন্স ফেরান তাকে। পুরান ২৬ বলে ৬টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৭০ রান করেন।

এরপর মার্শ দায়িত্ব নেন এবং ২৯ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন। এই অজি অলরাউন্ডার ৩১ বলে ৫২ রান করে আউট হন। কাপ্তান পন্থ ১৫ বলে ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি।  আব্দুল সামাদের দ্রুতগতির ক্যামিও লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়। শেষ পর্যন্ত ১৬.১ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ করে পন্থের দল। কামিন্স ২৯ রানে ২ উইকেট নেন। আসরে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল লক্ষ্ণৌ।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়